Breaking News

পিসিবির চেয়ারম্যানের পদ হারানো রমিজকে এবার কড়া জবাব দিলেন ‘ওহাব রিয়াজ’

সম্প্রতি পিসিবি তথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে রমিজ রাজাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই তার আমলে ঘটে যাওয়া নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটাররা।

সেই তালিকায় এবার যোগ দিলেন অভিজ্ঞ পেসার ওহাব রিয়াজ। সাবেক পিসিবি বসের আমলে ব্যাপক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আর এর সঙ্গে, তার মতে, জড়িত ছিলেন তখনকার প্রধান নির্বাচক মোহাম্মাদ ওয়াসিম।

পাকিস্তান জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের সাবেক এই প্রধান নির্বাচক পারফরম্যান্স সত্ত্বেও সিনিয়র ক্রিকেটারদের শুধু বয়সের অজুহাত দেখিয়ে একাদশের বাইরে রাখতেন বলে অভিযোগ এনেছেন ওহাব।

২০২০ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই পেসার বলছেন, ‘ল্যাপটপ (ল্যাপটপে নাম দেখে সিলেক্ট করতেন এমন) চিফ সিলেক্টর বা প্রধান নির্বাচক (ওয়াসিম) অত্যন্ত নিম্নমানের সিলেকশন করতেন।

এমনকি ইমাদ ওয়াসিম, শোয়েব মালিক এবং সরফরাজ আহমেদের মতো খেলোয়াড়দের নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও তিনি কোনো ন্যায়বিচার করেননি। জিওসুপার টিভি-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই তুরুণ ক্রিকেটার প্রশ্ন করেন,

‘২০২১ সালের টি২০ বিশ্বকাপে ব্যাপক নৈপুণ্য দেখান শোয়েব ও ইমাদ। কিন্তু ওনার (ওয়াসিম) ল্যাপটপে কি সেই পারফরম্যান্সের বিষয়টি দেখা যায়নি? তারা কেন ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপে অবহেলিত থাকলেন? তাদের সমস্যা কী ছিল?’

যখন ওহাবের কাছে জানতে চাওয়া হয়- তিনি কি বিষয়টি নিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, না করা হয়নি। ৩৭ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি জানি, রমিজ ভাই চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ।

প্রধান নির্বাচকের উচিত ছিল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি এমন হয়েছে যে, আপনি যদি কারও সঙ্গে একমত পোষণ করেন, তাহলেই কেবল আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

কিন্তু আপনি যদি নিজের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে সচেষ্ট থাকেন, তাহলে আপনার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করবে না। ওহাব স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার আগে দুটি ওয়ানডে ম্যাচে ৫ উইকেট এবং তিনটি টি২০ ম্যাচ থেকে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।

ওই সময় (২০২০ সাল) পিসিবির চেয়ারম্যান ছিলেন এহসান মানি এবং সিইও (প্রধান নির্বাহী) ছিলেন ওয়াসিম খান। তিনি বলেন, ‘পক্ষপাতিত্বের একটা সীমা থাকা উচিত। খেলোয়াড়দের বয়সের দোহাই দিয়ে সাইডলাইনে রাখার

মতো অধিকার খাটানোর জায়গা এটা না। বয়স যদি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে সেটা সবার জন্যই হওয়া উচিত। অভিজ্ঞ এই পেসার আরও বলেন, আপনি মিসবাহ ভাইয়ের কথা ধরুন, উনি তো ৪০ বছরের বেশি বয়সেও পারফর্ম করেছেন।

আমি মনে করি, একজন ক্রিকেটারের সত্যিকারের ক্রিকেটীয় সময় আসে ৩০ বছরের পর। এর অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। দেখুন, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি কিংবা ফাফ ডু প্লেসিস- এদের সবার বয়স কিন্তু ৩০ বছরের বেশি।

কিন্তু তারা ঠিকই তাদের দলের জন্য পারফর্ম করছেন। আমার মতে, বয়স কোনো মানদণ্ড হতে পারে না। যদি কোনো সিনিয়র খেলোয়াড় দলের জন্য পারফর্ম করার যোগ্য হন, তাহলে বয়সের চিন্তা না করে তাকে সিলেক্ট করা উচিত, বলেন ওহাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *