ক্যারিয়ার শুরুই হয়েছে বছর তিনেক। এতদিনে খেলেছেন মাত্র ৬টি ওয়ানডে আর ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ক্যারিয়ারের প্রারম্ভে মুস্তাফিজের মতো জাদুকরী কিছু না দেখালেও নিজেকে লম্বা রেসের ঘোড়া হিসেবে প্রমাণ করেছেন হাসান মাহমুদ।
টানা ইয়র্কারের পাশাপাশি কার্যকরী স্লোয়ারে বৈচিত্র্যময় বোলিং করেন ডানহাতি পেসার। ২৩ বছর বয়সী এই পেসারের লক্ষ্য ক্যারিয়ারের পাঁচশ আন্তর্জাতিক উইকেট শিকার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন হাসান মাহমুদ। ডেথ ওভারের ১২ বলে দেন মাত্র ৫ রান। ৪ ওভারে ২৬ রানে শিকার ২টি। সেই হাসান মাহমুদকেই আজ পাঠানো হলো দ্বিতীয় ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে।
মিরপুর শেরে বাংলায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে হাসান মাহমুদকে তার লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ছোট করে বলেন, ‘অবশ্যই ৫০০’। পরে অবশ্য তিনি বুঝিয়ে বলেছেন যে, ‘সব সংস্করণে ৫০০ উইকেট বুঝিয়েছি।
প্রায় তিন বছরের ক্যারিয়ারে ৬টি ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছেন হাসান। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির বোলিং পরিকল্পনার পার্থক্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়ানডেতে তো আমরা ১০ ওভার করি।
প্রথম ৫ ওভারের একটা পরিকল্পনা থাকে। বল যখন নতুন থাকে তখন সুইং নিয়ন্ত্রণ করা, লাইন-লেংথে বোলিং করা, ফিল্ডিং অনুযায়ী বোলিং করা।
পরে ৩০ ওভারের পর যখন বোলিংয়ে আসা হয়, তখন পরের ৫ ওভারের পরিকল্পনা অন্যরকম। তখন রান কম দেওয়ার চেষ্টা থাকে। ব্যাটসম্যান তখন মারতে চায়। তখন কিছুটা ভিন্ন পরিকল্পনায় বোলিং করা হয়।’