Breaking News

নাজমুল হোসেন শান্ত জানেন, ‘এ সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য নয়’

চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেছেন ৮ ম্যাচ। রান করেছেন ১৬২, গড় ২৩.১৪। এরমধ্যে ২ ম্যাচ খেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০ বলে করেছিলেন ২৫ রান।

আর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছেন ৯ বলে ৯ রান। এরমধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের পরই শান্ত গলা চড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাকে নিয়ে আলোচনা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

ম্যাচ আমরা জিতেছি, এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। খুব ভালো একটি শুরু হয়েছে। আশা করব, সামনের ম্যাচগুলোও আমরা এভাবে চেষ্টা করব ভালো খেলার। শান্ত আরও বলেছিলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সবাই ইতিবাচক ছিল।

অধিনায়কের যে জিনিসটা ছিল, আমরা সবাই একসঙ্গে ছিলাম এবং অধিনায়ক অনেক ইতিবাচক ছিলেন। বিশ্বাসটা তিনি দিয়েছেন আমাদের এবং সবারই বিশ্বাসটা ছিল, যে দলটা এখানে এসেছে, তাদের ভালো করা সম্ভব।

ওই বিশ্বাস নিয়েই আমরা মাঠে এসেছি। আমরা এই পুরো সফরে নেতিবাচক কিছু চিন্তাই করছি না। আজকে ভালো শুরু পেয়েছি টপ অর্ডারে, আশা করব সামনের ম্যাচেও এটা ধরে রাখতে।

কিন্তু কথা রাখতে পারেননি শান্ত। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০৬ রানের বড় টার্গেটে খেলতে নেমে স্ট্রাইকরেটে শতক হাঁকালেও দরকারি ওপেনিংটা করতে পারেননি তিনি। রান মাত্র ৯।

তারপরও হয়তো শান্ত বলবেন, তিনি কোনো চাপে নেই। এই কথাটাকে অনেকে পেশাদার মনে করলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। কারণ শান্তরা চাপ যেমন নেন না, তেমন পরের দিন ভালো করার চেষ্টা করেন না।

তারা তো জেনে গেছেন নাঈম শেখ না পারলে ওপেনিংয়ে আমিই। আমাকে না নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট যাবে কোথায়। বিশ্বকাপের আগেই শান্ত জানিয়েছিলেন তিনি মোটেও চাপ অনুভব করেন না।

কারণ, এতো খারাপ খেলার পরও নাকি টিম ম্যানেজন্ট বিশেষ করে নির্বাচকরা তার ব্যাপারে ইতিবাচক। তাকে সবধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তার কথা প্রমাণও আছে। কোনো পারফর্ম না করে শান্ত দলে এসেছেন।

গণমাধ্যম কর্মীরা বিশ্বকাপ দল দেওয়ার দিনই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কোন যুক্তিতে শান্ত দলে?’ জবাবে নান্নু জানান, ঘরোয়ায় শান্ত সেরা। বিপিএলেও তার কয়েকটা সেঞ্চুরি আছে।

অস্ট্রেলিয়া গিয়েও নান্নু বলেছেন, সমালোচনা নয় শান্তকে সাহস দিন। নান্নুদের এমন সমর্থন পাওয়া শান্ত হয়তো সেজন্যই জেনে গেছেন, ভালো কিংবা খারাপ করায় কিছু যায় আসে না। তার এই সুযোগ মোটেও সীমিত সময়ের জন্য নয়।

নান্নুরা যতোদিন আছেন, ততোদিন তিনি বড় মঞ্চে দলকে ডোবানোর সুযোগ পাবেন। ক্রিকেট ভক্তরাও এমন কাণ্ডে অতিষ্ট, তারাও জানতে চান ‘নান্নুদের এই স্বেচ্ছাচারিতার শেষ কোথায়?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *