রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে অবস্থিত দাঙ্গা যেন ক্রমেই বেরে চলছে। ইউক্রেনে পুতিন ঘোষিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চলছে। অভিযানের প্রথম দিনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমার জেলেনস্কি দাবি করেন ১৩৭ ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। দ্বিতীয় দিনে কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা এবং তৃতীয় দিন।
শনিবার রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের লড়াই চলছে।এদিকে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে নতুন করে কারফিউ জারি হয়েছে। কিয়েভ মেয়র ভিটালি ক্লিসকো এই ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, বেলা ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, কারফিউ চলাকালে কিয়েভের রাস্তায় কোনো বেসামরিক ব্যক্তিকে দেখা গেলে তাকে রুশ সেনাদের সহযোগী হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।’অন্যদিকে পোল্যান্ডের সীমান্ত রক্ষা সংস্থা জানাচ্ছে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে পোল্যান্ডে যাওয়া মানুষের ঢল ক্রমশ বাড়ছে।
বিবিসি তাদের সংবাদদাতার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পোল্যান্ডের সীমান্ত রক্ষা সংস্থা জানাচ্ছে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে পোল্যান্ডে যাওয়া মানুষের ঢল ক্রমশ বাড়ছে। ইতোমধ্যেই এক লাখ ইউক্রেনীয় পোল্যান্ডে ঢুকেছে।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে যারা পালাচ্ছেন, তাদের সকলকে আশ্রয় দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পোল্যান্ড সরকার। যাদের কোথাও যাওয়া জায়গা নেই, তাদের অস্থায়ী বাসস্থানের আশ্বাসও তারা দিয়েছে।ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত পারাপারের আটটি চৌকির সবগুলো দিয়ে শরণার্থীদের পায়ে হেঁটে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
কারণ সীমান্ত চৌকিগুলোতে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। এর আগে পায়ে হেঁটে আসা মানুষদের শুধু একটি চৌকি, মেডিইকা দিয়ে পার হওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। বর্তমান সময়ের সব থেকে চাঞ্চল্যকর ঘটনার মধ্যে অন্যতম ঘটনা এটি।