নিউজিল্যান্ডে তিনজাতি টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ জাতীয় দল অন্য কোনো দেশে একটি ৪ বা ৫ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করতে চায়- বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গত ১৩ই সেপ্টেম্বর এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
তবে কোন দেশে হবে সেই খন্ডকালিন অনুশীলন ক্যাম্প এবং কখন? তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি বিসিবি বিগ বস। তবে আজ দুপুর গড়াতেই জানা হলো, অনুশীলন ক্যাম্পই নয় শুধু,
দুই ম্যাচের একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজই খেলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুবাইতেই প্রস্তুতি ক্যাম্প হচ্ছে বাংলাদেশের এবং সেখানে আরব আমিরাত জাতীয় দলের বিপক্ষেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুটি খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২২ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইতে অবস্থান করবে টিম বাংলাদেশ। অনুশীরনের পাশাপাশি ম্যাচ দুটিও খেলবে তারা।
সবকিছু ঠিক থাকলে, ২২ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে টাইগাররা। এখন প্রশ্ন হলো দুবাইয়ের এই সফরে কী দলের সঙ্গে থাকবেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান? নতুন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শ্রীধরন শ্রীরাম ছাড়া বাকি কোচিং স্টাফরাও কি তাতে সম্পৃক্ত হবেন?
আজ দুপুরের পর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই প্রশ্ন করা হলে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন সাকিব আল হাসানের বিষয়টি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
তবে বিদেশী কোচদের কারো কারো থাকার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন। সাকিবের দুবাইতে উপস্থিত থাকা নিয়ে বিসিবি সিইওর ব্যাখ্যা, ‘সাকিব আল হাসানকে আগেই তো একটা ঘরোয়া টুর্নামেন্টের জন্য এনওসি দেওয়া হয়েছিল।
এখনো সেভাবেই প্ল্যান আছে। দুবাইতে থাকার ব্যাপারে আমরা এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের শেষ কথা, ‘যেহেতু এটা একটা টিমের প্রস্তুতি পর্ব,
এটা টিম ম্যানেজমেন্টই সিদ্ধান্ত নেবেন যে তাকে ওই সময়টাতে কতটুকু ক্যামব্যাক করে নিয়ে আসা যায় কিংবা দরকার। দুবাইতে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী বলেন
‘আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২২ তারিখ দল যাওয়ার ব্যাপারে একটা শিডিউল করা হয়েছে। ২২ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর, এরপর আমরা হয়তো ব্যাক করব। এর মধ্যে কয়েকটা প্র্যাকটিস সেশন এবং দুইটা ম্যাচ খেলার আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরে তারপর নিউজিল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ। বিসিবি সিইওর আশা জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফরা দুবাইয়ের এই ৫-৬ দিনের সফরে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি কোচিং স্টাফের বেশিরভাগ থাকবে। এটুকু জানিয়ে বিসিবি সিইও আরও বলেন, ‘আগে কথা ছিল ভিনদেশি কোচিং স্টাফের বড় অংশ নিউজিল্যান্ডে জাতীয় দলের সঙ্গে মিলিত হবে
কিন্তু যেহেতু এই ক্যাম্পটা হঠাৎ করে হচ্ছে, এখন আমরা আশা করছি, কোচিং স্টাফ দুবাইতে আমাদের যে ক্যাম্পটা হবে সেখানে জয়েন করবে।