Breaking News

তিলক না নেয়ায় হিন্দুদের রোষানলে পড়েছেন ভারতের দুই তারকা পেসার ‘সিরাজ-উমরান’

মুসলিম হওয়ার কারণে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে পড়েছেন ভারতের দুই তারকা পেসার মোহম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক! তেমন কিছুই তারা করেননি। কেবল হোটেলের প্রবেশপথে তিলক নিতে অস্বীকার করেছিলেন।

সেটাও করেছিলেন তারা অত্যন্ত নম্রভাবে। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। সামাজিক মাধ্যমে তাদের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। দলের সাথে থাকা দুজন অমুসলিমও তিলন নেননি। তাদের কিন্তু রোষারলে পড়তে হয়নি।

ভারতে অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়। টিম ইন্ডিয়ার ব্যর্থতায় অতীতে একাধিকবার রোষের মুখে পড়তে হয়েছে ‘মুসলিম’ মোহম্মদ শামিকে। ভারতীয় দলে ধর্মের রং আবারো দেখা গেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও।

যাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটার, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফরা হোটেলে প্রবেশ করছেন। এবং সেই প্রবেশপথেই তাদের কপালে তিলক লাগিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন হোটেলকর্মী। ভারতে বহু পাঁচতারা হোটেলেই অতিথিদের এভাবে স্বাগত জানানো হয়।

কিন্তু সিরাজ ও উমরান তিলক নিতে অস্বীকার করেন। হাতের ইশারায় নম্রভাবে ‘না’ বলে এগিয়ে যান তারা। আর এতেই তৈরি হয়েছে যাবতীয় বিতর্ক। নেটিজেনদের একাংশের দাবি,

সাধারণত হিন্দু ধর্মের রীতিতেই এভাবে কপালে টিকা দিয়ে স্বাগত জানানো হয়ে থাকে। আর দেশের থেকে এক্ষেত্রের নিজেদের ধর্মকে এগিয়ে রাখতেই তিলক নিতে রাজি হননি সিরাজ ও উমরান ।

অনেকের আবার প্রশ্ন তুলেছেন, কপালে তিলক নিলে কি বিরাট কোনো সমস্যা হয়ে যেত দুই পেসারের? বিতর্কের মাঝে যদিও অনেক নেটিজেনই পাশে দাঁড়িয়েছেন সিরাজ ও উমরানের। তাদের দাবি, এটা সম্পূর্ণ কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ।

এতে ধর্মের রং যোগ করার কোনো মানেই হয় না। তাছাড়া শুধু সিরাজ ও উমরানই নন, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর ও আরেক সাপোর্ট স্টাফ হরিপ্রসাদ মোহনকেও তিলক নিতে দেখা যায়নি। তাই এ নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন।

সামনেই দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরু ভারতের। নাগপুরে শুরু হতে চলা প্রথম টেস্টে দলে রয়েছেন সিরাজ। তবে এই সিরিজে ডাক পাননি উমরান। তাই মনে করা হচ্ছে, ভিডিওটি দিন কয়েক পুরনো।

শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন হয়তো এই ঘটনা ঘটেছিল। তবে ঘটনা যে সময়েরই হোক, ভিডিওটি সামনে আসতেই বিতর্কের মুখে পড়তে হলো দলের দুই তারকা সিরাজ ও উমরানকে। যদিও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *