গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস বোলিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয় বাংলাদেশের। ২৮ মাস পর ওয়ানডে দলে ফিরে শুরুতেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তাইজুল ইসলাম।
এর আগে সবশেষ ওয়ানডেটা সেই ২০২০ এর মার্চে খেলেছেন তাইজুল ইসলাম। এরপর কেটে গেছে একে একে ২৮টি মাস। রঙিন জার্সি আর গায়ে জড়ানো হয়নি তার। তার সে অপেক্ষা আজ যখন শেষ হলো, প্রত্যাবর্তনের মঞ্চটা দারুণভাবেই হোল বাঁহাতি এই স্পিনারের।
প্রথম বলেই উইকেট দিয়ে শুরু করেছিলেন। ১০ম ওভারে এসে পাঁচ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন তিনি। প্রথম বলে শেই হোপের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে শুরু করেছিলেন তিনি।
পরের ওভারেই ব্রেন্ডন কিংকে তুলে নিয়ে আরও একবার আঘাত হানেন উইন্ডিজ ইনিংসে। তাতেই শুরুর ধাক্কাটা দেওয়া হয়ে গিয়েছিল উইন্ডিজকে। ব্যক্তিগত অষ্টম ওভারে তিনি আবারও ধারণ করলেন রুদ্রমূর্তি।
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই রভম্যান পাওয়েলকে বিদায় করেন তাইজুল। তার করা একটা কুইকার বেশ বাঁক নিয়ে ঢুকছিল, একটু বেশি সময় নিয়ে পেছনের পায়ে খেলতে চেয়েছিলেন পাওয়েল।
যাযা চেয়েছিলেন তা হয়নি, বলটা গিয়ে আঘাত হানে তার মিডল স্টাম্পে। উইন্ডিজের অর্ধেক ইনিংস শেষ হয় ১১৭ রানে। নিজের পরের ওভারে আবারও উইন্ডিজ ইনিংসে আঘাত তাইজুলের।
তার প্রথম বলে কিমো পল চার হাঁকিয়েছিলেন। এক বল পর তাকে বিদায় করে প্রতিশোধটা নেন তাইজুল, এবারও পরাস্ত করেছেন টার্নেই। ঘূর্ণিতে বাঁক নিয়ে বলটা বেরিয়ে গেছে ব্যাটের বাইরের কোণা এড়িয়ে।
অনেকটা বাইরে থেকে বল ধরে নুরুল হাসান সোহান অসাধারণ ভাবে স্টাম্প ভাঙেন, পল তখনো ক্রিজের বাইরে ফলে আউট হয়ে ফিরে জান তিনি ।
সিদ্ধান্তটা তৃতীয় আম্পায়ার পর্যন্ত গেলেও পল আগেই বুঝে গেছেন, তার সময় শেষ, হাঁটা শুরু করেছেন সিদ্ধান্ত আসার আগেই। ১২৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বসে উইন্ডিজ।
সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে একপাশ আগলে রেখেছিলেন নিকলাস পুরান। তাকে শেষমেশ ফেরানোর দায়িত্বটা নেন তাইজুল। আরও একবার টার্নেই বিভ্রান্ত করে উইকেট আদায় করে নেন তিনি।
পূরণ করেন পাঁচ উইকেট। প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় করে ফেলেন তাইজুল। শেষ পর্যন্ত ১৭৮ রানে অল আউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।বাংলাদেশের হয়ে নাসুম এবং মুস্তাফিজুর রাহমান নেন ২ টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১৭৮/১০ (৪৮.৪ ওভার) (পুরান ৭৩, কার্টি ৩৩, পাওয়েল ১৮, শেফার্ড ১৯; তাইজুল ৫/২৮, মুস্তাফিজ ২/২৪)