টেস্ট ক্রিকেটে স্ট্যাটাস পেয়েছে ২২ বছর আগে বাংলাদেশ কতটা সফল এই ফর্মেটে টাইগাররা? প্রশ্নটা থেকেই যায়। আজকের এই দিনেই ২২ বছর পূর্বে ক্রিকেটের অভিজাত আঙিনায় পা রাখে টাইগাররা।
কিন্তু কতটা সফল দীর্ঘ এই ২২ বছরের পথ চলায়? সাম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। দু-ম্যাচ সিরিজের প্রথম টিতে বড় বেবধানের হার দিয়ে সফর শুরু টাইগারদের।
আরও সাত বছর আগেই অনন্তলোকে পাড়ি জমিয়েছেন জগমোহন ডালমিয়া। প্রয়াত এই ভারতীয় ক্রীড়া সংগঠকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়ই ২২ বছর আগে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হয়েছিল বাংলাদেশ।
ক্রিকেটের কাঠামো পরিপূর্ণ ছিল না, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের চর্চাও দীর্ঘদিনের নয়, তারপরও খেলাটার প্রতি বিপুলসংখ্যক দর্শকের নিখাদ ভালোবাসা, অপার সম্ভাবনাকে পুঁজি করে টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিল বাংলাদেশ।
নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের নেতৃত্বে তৎকালীন বিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ও সবার চেষ্টায় পাঁচ মাস পরই টেস্ট খেলতে নেমে যায় বাংলাদেশ দল।
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলেছিল টাইগাররা। প্রথম ইনিংসেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের গৌরবময়, ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিতে ৪০০ রান করেছিল স্বাগতিকেরা।
যদিও দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচটা হেরে যায় দুর্জয় বাহিনী। গত ২২ বছরের পথ চলায় টেস্টে বাংলাদেশের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।
এতো বছরেও প্রতিষ্ঠিত শক্তি হতে পারেনি বরং এখনো নবীশ দলের প্রতিচ্ছবি মাঝেমধ্যেই ফুটে উঠছে। কালে-ভদ্রে কিছু অর্জন-সাফল্য এসেছে বটে, কিন্তু মোটা দাগে সাদা পোশাকের লড়াইয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকেই বারবার দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজটাই এর জলজ্যান্ত প্রমাণ। ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে দুই টেস্টের আগেও দক্ষিণ আফ্রিকায়, ঘরের মাঠে লাল বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ বাংলাদেশ দল।
ব্যাটিং ব্যর্থতার রাহু পিছু ছাড়ছে না দলের। সেন্ট লুসিয়া টেস্টের আগে ১৩৩ টেস্টে টাইগারদের জয় মাত্র ১৬টি, হার ৯৯টি এবং ড্র হয়েছে ১৮টি ম্যাচ।
টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির ২২ বছর পূর্তির দিনে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে পরাজয়ের সেঞ্চুরি। ১০০ তম টেস্ট হারার দার প্রান্তে বাংলাদেশ।