গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব থেকে শুরু করে জিম্বাবুয়ে সফরের আগ পর্যন্ত এই সংস্করণে ফল এসেছে এমন ১২টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল জয় পেয়েছে মাত্র ১টিতে। জিম্বাবুয়ে সফরেও সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। ৩ ম্যাচের সিরিজ হেরেছে ১-২ ব্যবধানে।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে দুশ্চিন্তায় আছে বাংলাদেশ। এজন্য অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আনতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে দায়িত্ব দেওয়া হয় নুরুল হাসান সোহানকে।
তবে গুঞ্জন ছিল, এশিয়া কাপ থেকে নেতৃত্ব পেতে পারেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সাকিব ও মাহমুদউল্লাহসহ নেতৃত্বের ভাবনায় আছেন ৪ জন। পাপন বলছিলেন এখানে আরও নাম ছিল। আগে এসেছিল লিটন দাস, এরপর অনেকেই সোহানের নাম বলেছে, সে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হতে পারে।
একজন অধিনায়ক হলে আরেকজন তো সহ-অধিনায়ক হবে। এখানে কতগুলো ব্যাপার আছে, যাকেই বানাই না কেন, আগে তার সাথে তো কথা বলতে হবে। কিছু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ঠিক করে নিতে হবে।
এর সবই বাকি আছে, খুব তাড়াতাড়ি আপনারা জানতে পারবেন। তবে চারজনের তালিকা থেকে একজন অধিনায়কত্ব না করার ভাবনার কথা জানিয়েছে বোর্ডকে। পাপন বলেন, ‘যে ৪ জনের নাম বললাম এর মধ্যে একজন ‘না’ করেছে।
সে তো হবে না স্বাভাবিকভাবে। এদের মধ্যে সোহান তো ইনজুরিতে। তবে আবার মাহমুদউল্লাহকে দেওয়া হবে কি না বা পুরোনো কাউকে নেতৃত্ব দেওয়া হিবে কি না জানতে চাইলে পাপনের ব্যাখ্যা এটা এখন যদি আমি বলে দেই তাহলে আপনারা সব তো জেনেই যাবেন।
সাকিব হচ্ছে কি, হচ্ছে না, এটা তো এখন আমি বলব না। অধিনায়ক কে হবেন তার সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছিল এবং তাদের সঙ্গে আলাপও যে হয়ে গেছে তা বিসিবি সভাপতির কথা থেকে পরিষ্কার। তবে আলোচনা এখানেই শেষ নয়।
আরও আলাপের পরই মিলবে নতুন অধিনায়কের দেখা, জানালেন পাপন। আর সেটা হবে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার সময়। বিসিবি সভাপতি বলেন একসঙ্গে দল (এশিয়া কাপ) ও নেতৃত্ব দুটোই আপনারা জানবেন।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে। এর আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।