Breaking News

টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে যা বললেন জয়ের নায়ক ‘আফিফ’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা আর জয়ের পাল্লায় বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর সেই দলের বিপক্ষেই ঘাম ঝরিয়ে জিতলেন টাইগাররা। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার রাতে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে সোহান বাহিনী।

১৫৯ রানের লক্ষ্যে শেষ ওভারে পেসার শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে হাসি ফুটে বাংলাদেশি সমর্থকদের মুখে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১১ রান।

তার করা শেষ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ২ উইকেট হারালে আমিরাত অলআউট হয় ১৫১ রানে। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন আফিফ হোসেন। ব্যাটিংয়ে নড়বড়ে শুরুর পর বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন আফিফ হোসেন।

অধিনায়ক সোহানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড ৮১ রানের জুটি গড়েন আফিফ। দলকে ১৫৮ রান অবধি নিয়ে যান এ অলরাউন্ডার।

৫৫ বলে তিন ছয় ও সাত চারে ক্যারিয়ারসেরা ৭৭* রান করেন আফিফ। সঙ্গত কারণেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে আফিফের হাতে। ম্যাচশেষে পুরস্কার গ্রহণ করে আফিফ জানান, চাপের মুখে খেলতেই ভালোবাসেন তিনি।

যার প্রমাণ অনেকবারই দেখিয়েছেন। এ স্পিন অলরাউন্ডার বলেন, ‘সবসময় চাপের মুখে ব্যাটিং করতে ভালো লাগে। আমি শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম, সফল হওয়ায় ভালো লাগছে।

সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়রা নেই ম্যাচে। এ নিয়ে বাড়তি চাপ অনুভব করছেন কিনা? আফিফ বলেন, ‘কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকলেও আমাদের ওপর বাড়তি চাপ নেই।

আমাদের সবসময় সেরা একাদশই খেলাতে হবে। আশা করি পরের ম্যাচেও আমি রান করতে পারব। জয় পেলেও এশিয়া কাপের মতোই টপঅর্ডারের ব্যর্থতা পরিলক্ষিত।

সে কথা স্বীকার করে এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেন, ‘ হ্যাঁ, শুরুতে উইকেট একটু কঠিন ছিল। বল গ্রিপ হচ্ছিল। টপঅর্ডার ভালো করতে পারেনি, পরের ম্যাচে ইনশাআল্লাহ করবে।

এটি সমস্যা না। আমি আর সোহান ভাই ব্যাট করার সময় আস্তে আস্তে উইকেট ভালো হচ্ছিল দেখে আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পেরেছি।

লক্ষ্য থাকে উইকেট পড়ে গেলেও স্ট্রাইক রোটেট করি আর বাউন্ডারির জন্য করি। আজও ভিন্ন কিছু হয়নি। আজও গেম প্ল্যান অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় উইকেট অনুযায়ী শেষদিকে রান ঠিক ছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *