Breaking News

টি-টুয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে ১৪ নম্বর দলের সাথেও কষ্টের জয় বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারের পর এশিয়া কাপে চরম ব্যর্থতা- ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ক্রান্তিকাল কাটাচ্ছিল বাংলাদেশ। অবশেষে ধরা দিল জয়। হোক না সেটা দুর্বল দলের বিপক্ষে।

আজ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে আরব আমিরাতকে ৭ রানে হারিয়েছে তরুণদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ। যদিও ম্যাচটা জিততে যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হয়েছে। আফিফের দারুণ ব্যাটিং আর মেহেদি মিরাজের ঘূর্ণিজাদু এই ম্যাচের বড় প্রাপ্তি।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে ২৭ রানে আরব আমিরাতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। রান-আউট হয়ে ফিরেন ১৫ বলে ১৫ করা মুহাম্মদ ওয়াসিম। অপর ওপেনার চিরাগ সুরি এবং আরিয়ান লাকার ব্যাটে তারা এগুতে থাকে।

পাওয়ারপ্লেতে আসে ৪৩ রান। ২২ বলে ৩৯ রানের এই চমৎকার জুটি ভাঙে চিরাগ সুরির বিদায়ে। মেহেদি মিরাজের বলে সোহানের দারুণ স্টাম্পিংয়ে ইরেন ২৪ বলে ৭ চারে ৩৯ রান করা সুরি।

আমিরাতের তৃতীয় উইকেটেরও পতন ঘটে মিরাজের ঘূর্ণিতে। ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৭৯ রান। পরের ওভারে বাংলাদেশের চতুর্থ সাফল্যেও মিরাজের দারুণ অবদান। মুস্তাফিজের বলে রিজওয়ানের (৫) ক্যাচ চমৎকার ডাইভে তিনি তালুবন্দি করেন।

এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। কিন্তু মারকুটে ব্যাটিংয়ে রান উঠছিল। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। শরীফুলের করা দ্বিতীয় বলে সহজ ক্যাচ ছাড়েন সাইফউদ্দিন।

পরের বলেই অবশ্য ১৭ বলে ২৫ করা আয়ান খানের ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক হোসেন। পরের বলে ফের উইকেট। এবার আর ক্যাচ নিতে ভুল করেননি সাইফউদ্দিন। ১৫১ রানে অল-আউট হয় আমিরাত। বাংলাদেশ পায় ৭ রানের জয়।

শরীফুল ইসলাম এবং মেহেদি মিরাজ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। মুস্তাফিজ ৩১ রানে নিয়েছেন ২টি। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আফিফ হোসেনের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে বাংলাদেশ।

টপ অর্ডারে যথারীতি ধস নামে। দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ১১ রানে ‘ডাক’ মেরে ফিরেন সাব্বির রহমান। অপর ওপেনার মিরাজ ১৪ বলে ১২ রান করেন। তিনে নামা লিটন দাস ৮ বলে ৩ চারে ১৩ রান করে ক্যাচ তুলে দেন।

এরপর মেইয়াপানের বলে ইয়াসির আলী (৭ বলে ৪) বোল্ড হলে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে হাত খুলে মারার চেষ্টা করতে থাকেন আফিফ।

৭ বলে ৩ রান করা মোসাদ্দেক হোসেন ফিরেন স্টাম্পড হয়ে। ৭৭ রানের নেই ৫ উইকেট! এমন অবস্থায় আফিফ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

৬ষ্ঠ উইকেটে দুজনে গড়েন ৫৪ বলে ৮১* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। আফিফ হোসেন ৫৫ বলে ৭ চার তিন ছক্কায় ৭৭* এবং সোহান ২৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৫* রানে অপরাজিত থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *