প্রথম ইনিংসে দিন শেষে ভাল পজিশনেই আছে বাংলাদেশ বলা চলে । বিশেষ করে জয়ের ব্যাটিংএর কথা বলতেই হয় ।ওপেনিং থেকেই আছেন, তবে কখনোই খুব স্বাচ্ছ্যন্দে ছিলেন এটা বলা যাবেনা। বাউন্সারে ভড়কেছেন, পায়ের বল খেলতে গিয়ে ব্যালান্স বিগড়েছেন, একবার তো নিশ্চিত এলবিডাব্লিউ হওয়ার হাত থেকেও বেঁচে গেলেন।কিন্তু মনে রাখতে হবে মাহমুদুল হাসান জয় খেলছেন মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট। যদি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের হিসেবে আসা যায় তো এটি জয়ের মাত্র ৮ নম্বর ম্যাচ।
এতো কম অভিজ্ঞতা নিয়ে মাহমুদুল হাসান জয় যে নিউজিল্যান্ডের সাউদি-বোল্ট-ওয়াগনার-জেমিসনদের বিরুদ্ধে খুঁটি গেড়ে ১৬৩ বল পড়ে থেকে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নিলেন এটিও বা কম কি? এটিও মনে রাখা উচিত, ওপেনিং জয়ের ন্যাচারাল ব্যাটিং পজিশনও নয়!৪০ থেকে ৫০ এ আসার সময়টুকুতে বোধহয় স্নায়ুচাপই পেয়ে বসেছিলো সদ্য ১৯ পেরোনো জয়কে। একবার তো স্লিপে ক্যাচই দিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। এবং সেই চাপের ওপর আরো চাপ দিচ্ছিলো কিউই বোলার ফিল্ডাররা।তবে জয় করেছেন চাপকে জয়।
দেখিয়েছেন দায়িত্বশীলতার প্রমাণ। অপরাজিত থেকে খেলেছেন ভাল ইনিংস। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে দলিয় সংগ্রহ ১৭৫/২ ক্রিজে আছেন জয় ৭০(২১১) এবং মমিনুল হক ৮ (২৭)। এছাও দলে রান পেয়েছেন নাজমুল হাসান সান্ত ৬৪(১০৯), সাদমান ২২(৫৫) । এর আগে নিউ জিলান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩২৮ রানে । বাংলাদেশদের পক্ষে ৩ উকেট করে নেন সরিফুল এবং মেহেদি হাসান মিরাজ ।