জিম্বাবুয়েতে সিরিজ জয়ই শেষ লক্ষ্য টাইগারদের। জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের জন্য বরাবরই সহজ প্রতিপক্ষই। এই দলটার বিপক্ষে এখন হেসেখেলেই জয় তুলে নেন টাইগাররা। পরিসংখ্যান বলছে, ৭৮ ওয়ানডেতে ৫০ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ হেরেছে ২৮টি ম্যাচে।
আর ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে ১১টিতেই জয়ের স্বাদ পেয়েছেন লাল-সবুজরা। সিরিজ জয়কে পাখির চোখ করেই জিম্বাবুয়ে সফরে গেল বাংলাদেশ দল। এবারের সফরে তিন টি-টোয়েন্টির সাথে সমানসংখ্যক ওয়ানডে ম্যাচ খেলবেন সোহান-তামিমরা।
দেশ ছাড়ার আগে মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাসকিন আহমেদ জানান, তাদের লক্ষ্য থাকবে সিরিজ জেতার। তবে প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখছেন না এই পেসার। তার মতে, কষ্ট করেই জিততে হবে।
গত বছরের সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। আর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। এবারও তেমনটাই আশা করছেন সফরকারীরা।
অবশ্য ২০২১ সালের সে সফরে সিনিয়ররা থাকলেও এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো সিনিয়র ক্রিকেটারই নেই। নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দিয়ে নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে সোহানকে।
৩৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টিতে সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক না থাকলেও ওয়ানডে সিরিজে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ আছেন।
এবারের সফরে অবশ্য জিম্বাবুয়ের মাটিতে অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন না তারা। এমনকি দেশের মাটিতেও কোনো ক্যাম্পের আয়োজন ছিল না। কেননা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দেশে ফেরার ৪-৫ দিন পরই জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে উড়াল দিতে হয়েছে টি-টোয়েন্টি দলের সদস্যদের।
জিম্বাবুয়েতে গতকাল পৌঁছেন তারা। হারারেতে আজ ও কাল নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য সময় পাবেন তারা। আগামী শনিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে সিরিজ।
বাকি দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ৩১ জুলাই ও ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৫, ৭ ও ১০ আগস্ট। সব ম্যাচই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে হবে।