Breaking News

জয়ের সেঞ্চুরিতে পিছিয়ে পড়া টেস্টে, ড্র করলো বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক আঙিনায় শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সেঞ্চুরি করে নিজের প্রতিভার জানান দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। দলের বিপদে যে তার বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য আছে, সেটা আরও একবার দেখালেন ২২ বছরের তরুণ।

সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ অনানুষ্ঠানিক টেস্টে হার না মানা এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন জয়। তার লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভর করে চারদিনের টেস্টের শেষদিন কাটিয়ে ড্র করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

অথচ এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল প্রথম ইনিংসে গড়েছিল ৪৪৫ রানের বড় সংগ্রহ। জবাবে ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। ফলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬১ রানের। তৃতীয় দিন শেষে কোনো উইকেট না খুইয়ে বাংলাদেশ তোলে ৪৭ রান।

মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ আর বাঁহাতি জাকির হাসান ১৪ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। হাতে ১০ উইকেট। কিন্তু শঙ্কা তো ছিলই। এই ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল না বললেই চলে। বরং চতুর্থ দিনের উইকেটে বাংলাদেশি ব্যাটাররা টিকতে পারবেন কিনা,

সেটা নিয়ে ভয় ছিল। সেই ভয় কাটিয়ে সহজেই ড্র করেছে টাইগাররা। ৯১ ওভার খেলে ৪ উইকেটে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৩০৫ রান তুললে ড্র মেনে নেয় দুই পক্ষ। বাংলাদেশকে এই ড্র এনে দেওয়ার আসল কারিগর জয়।

ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী জাকির হাসানও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা গড়েন ৯১ রানের জুটি। ৯৫ বল খেলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৩ করে ফেরেন জাকির। এরপর মুমিনুল হক একদমই সুবিধা করতে পারেননি।

৫ রান করেই সাজঘরে ফেরেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। তবে এরপর সাইফ-ইয়াসিররা দলকে ভরসা দিয়েছেন। অধিনায়ক সাইফ ৩৮ করে আউট হন। ইয়াসির আলি রাব্বি ৮৫ বলে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় খেলেন ৬৭ রানের মারকুটে ইনিংস।

বাকি সময়টা শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে কাটিয়ে দেন জয়। দিপু অপরাজিত থাকেন ২০ রানে। জয় ১১৪ রানের ম্যাচ বাঁচানো ইনিংসটিতে বল খেলেছেন ২৬৮টি। ছিল ১৪ বাউন্ডারির মার।

তবে এই টেস্টে লড়াই করে ড্র করলেও সিরিজ বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম টেস্টটাও ড্র হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিবীয়রা পায় ৩ উইকেটের জয়। ফলে তিন টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *