চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যত রেকর্ড। ব্রাজিলিয়ান তরুণ তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়রের একমাত্র গোলে লিভারপুলকে হারিয়ে আবারও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।
প্যারিসে লস ব্লাঙ্কোসদের এ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। এ নিয়ে টানা তিনটি ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালের ফল নির্ধারণ হলো ১-০ গোলের ব্যবধানে।
এর আগে ১৯৭৭-৭৮ থেকে ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে টানা ছয়টি ফাইনালের ফল হয়েছিল ঠিক ১-০ গোলের ব্যবধানে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে লিভারপুল কোচের এটি তৃতীয় পরাজয়। ইতালিয়ান কোচ মার্সেলো লিপ্পির পর মাত্র দ্বিতীয় কোচ হিসেবে এই তিক্ত স্বাদ পেলেন ক্লপ।
বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ২০১৩ এবং লিভারপুলের হয়ে ২০১৮ ও ২০২২ সালের ফাইনাল হারলেন ক্লপ। অন্যদিকে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি গড়েছেন নতুন ইতিহাস। প্রথম কোচ হিসেবে চারটি ইউরোপিয়ান কাপ শিরোপা জিতলেন তিনি।
২০০৩ ও ২০০৭ সালে এসি মিলান এবং ২০১৪ ও ২০২২ সালে রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনেও দুইবার ইউরোপিয়ান কাপ শিরোপা জিতেছেন আনচেলত্তি। রিয়ালের একঝাঁক খেলোয়াড় স্পর্শ করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড।
এতোদিন ধরে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে রোনালদো এককভাবে সবার ওপরে ছিলেন। এবার তার সঙ্গে যোগ দিলেন লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো, দানি কারভাহাল, ইস্কো অ্যালার্কন, গ্যারেথ বেল, ক্যাসেমিরো, টনি ক্রুস ও নাচো।
শনিবার রাতের ফাইনালে নয়টি শট ঠেকিয়েছেন রিয়াল গোলরক্ষক কর্তোয়া। ২০০৪ সাল থেকে গোল ঠেকানোর পরিসংখ্যান সংরক্ষণের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে এতো শট ঠেকাতে পারেনি কেউ।
এছাড়া পুরো আসরে কর্তোয়ার ৫৯টি শট ঠেকানোও নতুন রেকর্ড। রিয়ালকে শিরোপা জেতানো গোলটি করেছেন মাত্র ২১ বছর ৩২০ দিন বয়সী ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে গোল করা দ্বিতীয় কণিষ্ঠতম ফুটবলার তিনি। ২০১৭ সালের ফাইনালে ২১ বছর ১৩৩ দিন বয়সে গোল করেছিলেন মার্কো অ্যাসেনসিও।