দলের ৫ উইকেট হারানর পর খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে দুজনেরই সেঞ্চুরি উপহার বাংলাদেশের। প্রথম দিন শেষে ২৭৭ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে আইসিসি প্রেসিডেন্টের সামনে ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইনিংসটা আর কতটুকুই বা লম্বা হতে পারতো।
বড়জোর ৫০/১০০ কিংবা ১৫০? কিন্তু সে অবস্থা থেকে স্বপ্নের ব্যাটিং করেছেন লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। এই দুই অকুতোভয় ব্যাটারের ব্যাটে এখন বড় সংগ্রহের স্বপ্নও দেখছে বাংলাদেশ।
দল যেভাবে মহা বিপর্যয়ে পড়ে গিয়েছিল, সে পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে শুধু টেনে তোলাই নয়, অসাধারণ সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। তার দেখাদেখি পিছিয়ে থাকলেন না মুশফিকুর রহিমও। তিনিও উপহার দিলেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরির।
শুধু তাই নয়, টানা দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করলেন তিনি। ইনিংসের ৭৬তম ওভারের ৫ম বলে রমেশ মেন্ডিসের কাছ থেকে একটি রান নিয়েই ক্যারিয়ারে ৯ম সেঞ্চুরি পূরণ করলেন মুশফিক।
২১৮ বল খেলে ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান মুশফিক। এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ১০৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ঢাকা টেস্টে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১১৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুশফিক।
তার সঙ্গে ১২৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান- এ তিনজন শূন্য রানে আউট হওয়ার কারণে শঙ্কাটা আরো ঘাড় হয়। নাজমুল হোসেন শান্ত ৮ রানে, মুমিনুল ৯ রানে আউট হন।
২৫ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর পঞ্চম উইকেটে জুটি বাধেন লিটন-মুশফিক। এ দু’জনের ব্যাটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গড়ে উঠেছে ২৪৭ রানের জুটি। ৫ বছর পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক।
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের বিপক্ষে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। এরপর এবার করলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মুশফিকের আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন লিটন দাস।
চট্টগ্রামে খেলেছিলেন ৮৮ রানের ইনিংস। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ায় ঢাকা টেস্টে এসে আক্ষেপটা ঘোচালেন তিনি। ১৪৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন লিটন।