বিশ্বকাপের রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে শীতকালীন দলবদল নিয়ে জল্পনা শুরু। সপ্তাহখানেক পরই খুলবে ট্রান্সফার উইন্ডো। যেখানে কে কাকে দলে ভেড়াবে এরই মধ্যে আলোচনা চলছে। বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের ওপর আছে জায়ান্ট ক্লাবগুলোর চোখ।
পিছিয়ে নেই চমক দেখানো মরক্কো, তৃতীয় হওয়া ক্রোয়েশিয়া এবং রানার্সআপ হওয়া ফ্রান্সের খেলোয়াড়রাও। রাফায়েল লিও: খুব বেশিদূর যেতে পারেনি পর্তুগাল। মরক্কোর কাছে হেরে কোয়ার্টার থেকেই বিদায় হয় তাদের। তবে ওই পর্যন্ত দলটির ফরোয়ার্ড লাইনে আলো ছড়িয়ে যান রাফায়েল লিও।
ঘানার বিপক্ষে এক গোল এবং সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষেও গোল পান তিনি। এসি মিলানের এই তরুণকে কিনতে চাইছে চেলসি। এ জন্য তারা ৭০ মিলিন পাউন্ড দিতেও প্রস্তুত। যদিও বর্তমানে লিওর বাজারমূল্য প্রায় ৮৫ মিলিয়ন ইউরো।
গত মৌসুমটা ভালো কাটেনি চেলসির। প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলের তিনে ছিল তারা। এবার আরও বাজে অবস্থা। তাই মিড সিজনে নতুন ফরোয়ার্ড এনে আক্রমণটা আরও চাঙ্গা করতে চায় ব্লুজরা।
জুড বেলিংহাম: ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে এবার যে ক’জন বিশ্বকাপে দ্যুতি ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতেই থাকবেন জুড বেলিংহাম। দলটির মাঝমাঠের সারথি হয়ে ওঠেন তিনি। আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন এই মিডফিল্ডার।
শুধু তাই নয়, প্রতিপক্ষ ডিফেন্সেও সর্বাধিক ১৫৮ বার চার প্রয়োগ করেছেন বেলিংহাম। তার ওপর নজর পড়েছে বিশ্বের তাবৎ সব ক্লাবের। বর্তমানে লড়াইটা চলছে লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে। লা লিগার ক্লাবটি খুব করে চাইছে বেলিংহামকে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে উড়িয়ে আনতে।
এনজো ফার্নান্দেজ: লিওনেল স্কালোনির নতুন আবিস্কার এনজো ফার্নান্দেজ। মূলত পছন্দের তালিকায় থাকা মিডফিল্ডার লো সেলসোর ইনজুরিতে কপাল খোলে এনজোর। তাতেই বাজিমাত করেন তিনি।
আর্জেন্টিনার মাঝমাঠ থেকে পুরো মাঠই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ও হন এনজো। এমন একজনকে দলে ভেড়াতে চাইছে লিভারপুল। যদিও শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদের নাম শোনা যায়। তবে অল রেডসরা তাঁর জন্য এরই মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ইউরো দাম হাঁকিয়েছে। সে জন্য রিয়াল কিছুটা পিছু হটল।
ইওস্কো গার্ডিওল: ক্রোয়াটদের রক্ষণ দেয়ালের অন্যতম সেনানী ছিলেন ইওস্কো গার্ডিওল। কাতার বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই তিনি একজন যোদ্ধার মতো লড়াই করে যান। বিশেষ করে ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তার দেয়াল ভাঙতে কতটা যে বেগ পেতে হয়েছিল, সেটা সেলেকাওরা টের পেয়েছে।
এরপ
র আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও তিনি বেশ কয়েকটি আক্রমণ নসাৎ করে দেন। এমন একজনকে তাদের রক্ষণভাগে চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ। চেলসিও থিয়াগো সিলভার উত্তরসূরী করতে চায় তাকে।
ম্যাক অ্যালিস্টার: ব্রাইটনে খেলা ম্যাক অ্যালিস্টারকে নিয়ে আগে এতো কথাবার্তা হয়নি। বিশ্বকাপে তিনি এভাবে পারফর্ম না করলে হয়তো আড়ালেই পড়ে থাকতেন। পোল্যান্ডের বিপক্ষে চমৎকার এক গোলে সবাইকে জানিয়ে দেন, তিনিও পারেন দারুণ কিছু করতে।
এবার তাঁকে নিয়ে টানাটানি করছে প্রিমিয়ার লিগের একাধিক ক্লাব। যেখানে এগিয়ে আর্সেনাল। শোনা যাচ্ছে টটেনহ্যামের নামও। ম্যাকের বর্তমান বাজারমূল্যও বেশি না। ৩২ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে।
কডি গাকপো: গাকপো ডাচদের তরুণ তারকা। নেদারল্যান্ডসদের আক্রমণভাগের মূল দায়িত্বটা ছিল তার কাঁধেই। ডাচদের হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলা গাকপো তিন গোল করেছেন। সর্বাধিক ৩৪টি ক্রসও দেন গাকপো।
পাশাপাশি মিডফিল্ড ও ডিফেন্সিভ লাইন থেকে সবচেয়ে বেশি ৯০টি সুযোগ রিসিভ করেন। বিশ্বকাপের আগে ম্যানইউ ছাড়া তেমন কোন ক্লাব তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। এখনও ম্যানইউ তাকে কেনার লড়াইয়ে এগিয়ে। তবে লড়াইয়ে নামবে ইউরোপের অন্য জায়ান্ট ক্লাবও।