Breaking News

কাউন্টি লিগে ৩২ চারে ১৮২ রানের ঝড়ো ইনিংস আশরাফুলের

কাউন্টি লিগে ৩২ চারে ১৮২ রানের ঝড়ো ইনিংস খলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুলের। ইংল্যান্ড চলমান মাইনর কাউন্টি ক্রিকেট লিগে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কুয়ার্নডন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে চরম বিপর্যয়ের সময়ে পাল্টা আক্রমণে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন তিনি।

তার বিধ্বংসী ইনিংসের কল্যাণে লালিংটন ক্রিকেট ক্লাব পেল ১৪৩ রানের বিশাল জয়। শনিবার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এক পর্যায়ে ১৩.৫ ওভারে ৬৬ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল লালিংটন। তাতে একশ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জোরালোভাবে জেঁকে বসেছিল তাদের ওপর।

কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলের ভাবনা ছিল অন্যরকম। আগের ম্যাচগুলোর ছন্দ ধরে রেখে কুয়ার্নডনের বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। ১৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে।

ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ১৩৬ বল মোকাবিলায় ৩২ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান তিনি। আশরাফুলের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৮ রানের ভালো সংগ্রহ পায় লালিংটন। লড়াকু পুঁজিকে রক্ষা করার বাকি কাজটা সারেন তাদের বোলাররা।

বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমাতে না পেরে ৩১.৫ ওভারে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় কুয়ার্নডন। দলীয় ২ রানে অধিনায়ক পল ডসনের বিদায়ের পর স্ট্রাইক পান আশরাফুল। লিটল মাস্টার খ্যাত এই ব্যাটার চাপ সামলে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৪৬ রানের জুটি। সেখানে তার সঙ্গী ডাসগির নওখেজের অবদান মোটে ৩ রান।

এই জুটির ভাঙনের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লালিংটনের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১৮ রানের মধ্যে ৬ উইকেটের পতন হলে মহাবিপাকে পড়ে তারা। ৩৭ বছর বয়সী আশরাফুলকে অবশ্য টলাতে পারেনি কুয়ার্নডন। বরং রায়ান ওয়্যারের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি বাউন্ডারির বন্যা বইয়ে দেন।

তার ১৩৩.৮২ স্ট্রাইক রেটের কল্যাণে তরতর করে বাড়তে থাকে রান। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন লালিংটনের সংগ্রহ ছিল ৩৫.১ ওভারে ২১৩। ওয়্যার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬৭ বলে ৪৭ রানে।

টেস্ট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান আশরাফুল মাইনর লিগের এবারের মৌসুমে আগেও একটি সেঞ্চুরি করেছেন। তাছাড়া, লালিংটনের জার্সিতে নব্বইয়ের বেশি রানের একটি ইনিংসও রয়েছে তার।

মাঝে ল্যাশিং বিশ্ব একাদশের একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্কোয়াডে ছিলেন আশরাফুল। তার দল সেখানে জয় পায় ১৪ রানে। সতীর্থ হিসেবে আশরাফুল পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের টাটেন্ডা টাইবু, ইংল্যান্ডের ওয়াইস শাহ, পাকিস্তানের ইয়াসির আরাফাতকে।

ল্যাশিংয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি সাবেক তারকা ব্যাটার স্যার গর্ডন গ্রিনিজ। তার অধীনে ১৯৯৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *