অবশেষে শতরান এলো বিরাট কোহলির ব্যাটে। ১০২১ দিন পর দেখা মিললো সেই শতরানের। হোক না প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। বিরাট কোহলিতো শতরান করলেন। আফগান ম্যাচে ওপেন করতে নেমেছিলেন সাবেক এই ভারত অধিনায়ক।
রোহিত খেলেননি। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে নামেন কোহলি। রাহুলও বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু ঘুরেফিরে সবার মুখেই কোহলির নাম। এশিয়া কাপে এসে ছন্দে ফিরলেন।
টি-২০ বিশ্বকাপের আগে যা ভারতীয় দলের জন্য স্বস্তিদায়ক। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কোহলিকে ওপেন করতে পাঠানো উচিত টি-২০ আন্তর্জাতিকে। আইপিএলে আরসিবির হয়েও প্রায় নিয়মিত ওপেন করতে দেখা যায় কোহলিকে।
লোকেশ রাহুলের কাছে এই প্রশ্ন ধেয়ে আসতেই তাঁর জবাব, তাহলে আমি বসে যাব? এরপরই রাহুল বলেছেন, ‘কোহলির রানে ফেরাটা দলের কাছে স্বস্তির। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এরকম একটা ইনিংস খেলে বিরাট কোহলিও নিশ্চয়ই তৃপ্তি পেয়েছে।
দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল। ২২ গজে ক্রিকেটাররা যত বেশি সময় কাটাবে, দলও ততই উপকৃত হবে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত দলের অধিনায়ক রাহুল আরও বলেছেন, টানা ২-৩টি ইনিংস খেললে আত্মবিশ্বাস এমনিই এসে যায়।
বিরাট কোহলি দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। তাই শুধু ওপেনিংয়ে নয়, তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসেও নিয়মিত শতরান করেছে কোহলি। সকল ক্রিকেটারেরই একটা ভূমিকা থাকে। আর সেই ভূমিকাটা সে দারুণভাবে পালন করেছে।
এরপরই রাহুলের সংযোজন, পরবর্তী যে সিরিজ খেলব, সেখানে হয়ত দেখবেন বিরাটের ভূমিকা বদলে গেছে। নিন্দুকদের একহাত নিয়ে রাহুল বলেছেন, বিরাট কোহলির ভারতের হয়ে খেলার আবেগ ও রান করার তীব্র আকাঙ্খা বরাবরই ছিল।
হয়ত তিন অঙ্কের রান আসেনি। কিন্তু বিরাট ব্যর্থ এটাও বলা যাবে না। গত দুই-তিন বছরেও সাদা বলের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান প্রাপকদের তালিকায় বিরাট প্রথম তিনেই থেকেছে।
রাহুল আরও বলেন, বিরাটের এই শতরানে ড্রেসিংরুমের কেউ অবাক নয়। কারণ বিরাটের বড় রানে ফেরাটা সময়ের অপেক্ষা ছিল। এই শতরান বিরাটকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে গেল। এমনকি দলও আত্মবিশ্বাস পেল।