Breaking News

এটি সত্যিই অনেক বড় অপরাধ: সাকিব

শ্রীলংকার বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ব্যাটারদের নৈপুণ্যে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বোলারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচটি হাতছাড়া হয়ে গেল। ২ উইকেটে হেরে সবার আগে এশিয়া কাপের এবারের আসর থেকে বাদ পড়েছে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের সঙ্গে সুপার ফোরে উঠে গেছে শ্রীলংকা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেখানে একটি ডট বলই মহামূল্যবান সেখানে গতকাল দুবাইয়ে ওয়াইড, নো- এর পসরা মিলিয়ে বসে বাংলাদেশি বোলাররা।

১৯.২ ওভারের মধ্যে দশটিই অতিরিক্ত বল করেছে বাংলাদেশ। এবাদত হোসেন ও শেখ মেহেদি হাসান মিলে করেছেন ৪টি নো বল ও ৬টি ওয়াইড বল। অভিষেকে ৩ উইকেট শিকারি এবাদত করেছেন ২টি নো ও ৬টি ওয়াইড বল।

তবে সপ্তম ওভারে অফস্পিনার মেহেদির করা নো বলটি বাংলাদেশিদের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে নিশ্চিত। মেহেদির সেই নো বলে ৩১ রানে জীবন পেয়ে যান কুশল মেন্ডিস। সেই মেন্ডিস ৬০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন।

ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসানের ভাষ্য, এমন নো-ওয়াইডের মেলা বসিয়েই বাংলাদেশ দল হেরেছে। স্পিনারদের নো বল করা অপরাধ হিসেবে জানালেন সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন,

‘কোনো অধিনায়কই চায় না তার দলের কেউ নো বল করুক। কোনো স্পিনার যখন নো বল করে, এটি অনেক বড় অপরাধ। আমরা অনেক ওয়াইড ও নো বল করেছি। আমরা নিয়ন্ত্রণহীন ছিলাম।

আমরা বুঝতে পারিনি চাপের মধ্যে কী করতে হবে। লংকান তারকা কুশল মেন্ডিসের কারণে বাংলাদেশের স্পিনাররা জ্বলে উঠতে পারেনি এমনটাই জানালেন সাকিব।

আমরা জানি কুশল খুব ভালো স্পিন খেলে। তাই আমরা যদি ওকে তাড়াতাড়ি ফেরাতে পারতাম তাহলে আমাদের স্পিনারদের জন্য কাজটা সহজ হতো। যতক্ষণ কুশল উইকেটে ছিল আমাদের স্পিনারদের জন্য বোলিং করা কঠিন ছিল।

সে ২ রানে জীবন পেয়েছে, পরে আউট হলেও নো বল ছিল। স্পিনারের নো বল করা  কখনোই কাম্য নয়। আমাদের স্পিনাররা সাধারণত নো বল করে না। সাকিবের মতে, স্নায়ুচাপে ভুগে এমন নো-ওয়াইড মেরেছে বাংলাদেশি বোলাররা।

অধিনায়ক বললেন আজ প্রমাণ হলো আমরা চাপের মুখে ভেঙে পড়ি। আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গিয়ে হেরে যাচ্ছি। এসব ম্যাচের অর্ধেকও জিততে পারে এই ফরম্যাটে আমাদের রেকর্ড ভালো থাকতো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *