Breaking News

উপোস করে ওজন কমান ? জেনে নিন কতটা নিরাপদ !

না খেয়ে একটানা উপোস করা এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডায়েট ট্রেন্ডগুলির মধ্যে একটি। ফিটনেস উৎসাহী থেকে শুরু করে সেলিব্রেটি সকলেই এই জনপ্রিয় পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। এর পোশাকি নাম ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। উপোসের এই পদ্ধতি নিরাপদ এবং এর বিশেষ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু ৪০ পার করা মহিলাদের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা অপরিহার্য যদি তাঁরা উপোস করতে চান।

একটানা উপোস করলে চল্লিশের পরে মহিলাদের যে সতর্কতা থাকতে হবেঃ

২০- ৩০ এর উরধে যে মহিলাদের বয়স, তাঁদের তুলনায় ৪০-এর বেশি যাঁদের বয়স, সেই সব মহিলাদের একটানা উপোস করার সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। প্রথমত, তাঁদের বিপাকীয় ক্রিয়া ধীর গতির, কিছু ধরনের হরমোনজনিত সমস্যাও আছে। এমনকী তাঁদের স্ট্রেস লেভেলও অন্যদের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে, ৪০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের আরও ভালো ফলাফলের জন্য তাঁদের উপোস পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে।

দীর্ঘ সময় ধরে উপোস করাঃ

যদি সঠিকভাবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে উপোস করা হয় তবেই সেটা কার্যকর হবে। যত বেশি উপবাস করা হবে, তত দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে। দীর্ঘ সময় ধরে উপোস রাখা শুরুতে কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা অভ্যাস হয়ে যায়। ফিট থাকার জন্য প্রয়োজনীয় দৈনিক ক্যালোরির হিসাব রাখতে হবে। অল্প সময়ের জন্য উপোস রাখা উপকারী নয়।

বেশি করে প্রোটিন খাওয়াঃ ডায়েট অনুসরণ করার সময় একাধিক কারণে প্রোটিন গ্রহণ অপরিহার্য। এটি কোষের বিল্ডিং ব্লক। প্রোটিন দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখতেও সাহায্য করে।

আর্দ্র থাকাঃ অনেকেই উপোসের সময় জল পান করতে ভুলে যান। জল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে। উপোসের সময় পর্যাপ্ত জল পান না করা গুরুতর ডিহাইড্রেশনের দিকে পরিচালিত করে থাকে করে জার কারনে ঘটতে পারে উলটো কিছু ।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ পর্যাপ্ত ঘুম সব কিছুর উর্ধে ঠিক করে না ঘুমোলে উপোস করে কোনও লাভ হয় না। এতে ক্যালোরি গ্রহণ বেশি হয় এবং স্ট্রেস লেভেল বেড়ে যায়। সময়মতো বিছানায় যাওয়া, সময়মতো ঘুম থেকে ওঠা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অভ্যাস করতে হবে যেটা,  অলা জেতে পারে ডায়েটের একটা অংশ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *