উইন্ডিজে মুস্তাফিজকে ‘ডিউক’ বলের তালিম দিচ্ছেন ডোনাল্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ার সাত বছরের। নতুন কিছু শেখার সুযোগ যে কোনো ক্রিকেটারের সামনে সবসময়ই অবারিত। নিজেকে সমৃদ্ধ করার দরজাও বন্ধ নয়।
এই যেমনটা এখন বোলিংয়ের গ্রিপে কিছুটা পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে মুস্তাফিজের। বদলের চেষ্টাটা করছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকে কেন্দ্র করেই এই পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।
তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম একই সময়ে ইনজুরিতে পড়ায় এই সফর দিয়ে ১৬ মাস পর টেস্টে ফিরতে হয়েছে মুস্তাফিজকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শুধু লাল বলের ক্রিকেটে ফেরাই নয়, বোলিংয়েও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তার জন্য।
কারণ বাংলাদেশে টেস্টে খেলা হয় কুকাবুরা ও এসজি বল দিয়ে। কিন্তু ক্যারিবিয়ানে টেস্ট ম্যাচ খেলা হয় ডিউক বলে। যার বাউন্স, সুইং তুলনামূলক বেশি।
অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ দল যখন প্রস্ত্ততি ম্যাচে ব্যস্ত তখন নেটে বাঁহাতি এই পেসারকে নিয়ে কাজ করছেন ডোনাল্ড। ডিউক বলে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন কাটার মাস্টার।
ডিউক বলে খেলা অভিজ্ঞতা জানিয়ে ডোনাল্ড বলেছেন, ‘এখানে বিষয়টা হলো কুকাবুরা থেকে ডিউক বলে আসা। এই বল দিয়ে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলে অভ্যস্ত আমি।
যুক্তরাজ্যে টেস্ট ক্রিকেট এই বলেই হয়।’ এই বলে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয় কারও জন্যই। এই প্রোটিয়া কোচ বলেছেন, ‘ডিউক বলের সিম খুবই শক্ত ও উজ্জ্বল থাকে।
এই বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেক কাজ করতে হয় যেমনটা আমরা আগে দেখেছি। মুস্তাফিজের গ্রিপ বদলে দিয়েছেন ডোনাল্ড। তাতে না কি প্রাথমিকভাবে খুব ভালোই ফল এসেছে।
বাংলাদেশের এই আফ্রিকান বোলিং কোচ বলেছেন, ‘ফিজের সঙ্গে একটি সেশন করলাম। আইপিএলের পর এটিই তার প্রথম। তাকে এই বল সম্পর্কে কিছু ধারণা দিলাম।
সে এবারই প্রথম এই বল নিয়ে কাজ করল। তার গ্রিপ হালকা বদলেছি। তো প্রথমবার হিসেবে তার মনে হয়েছে এটি খুব কাজে দিয়েছে। শুধু মুস্তাফিজ নয়, ডিউক বলে বাকি বোলারদের বিশেষ করে পেসারদের বোলিংয়ে নজর রাখতে হচ্ছে ডোনাল্ডকে।
প্রস্ত্ততি ম্যাচে বোলিং করলেও এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদের জন্য এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে না। সাবেক এই প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্টস একাদশের বিপক্ষে (ডিউক বলে কেমন হয়) দেখার সুযোগ থাকছে। এই বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাদের বেশ কাজ করতে হবে।’