উইন্ডিজ সফর শুরুর আগেই আলোচনা ছিল সাকিব আল হাসানকে ঘিরে। ক্যারিবীয় সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেললেও ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন না এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
সিরিজটি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ নয়, এ জন্য সে সময় ছুটি নিতে চান সাকিব। তবে তিন ফরম্যাটের স্কোয়াডেই থাকে তার নাম। সফরে যাওয়ার আগে সাকিব নিজেই জানান, সব ফরম্যাট খেলবেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ না খেলে যুক্তরাষ্ট্র চলে যাবেন সাকিব আল হাসান- এমন গুঞ্জন গত কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সে গুঞ্জনই সত্যি প্রমাণ হলো।
অফিসিয়ালি সাকিব জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নেই। টি-টোয়েন্টি খেলেই নিউইয়র্ক চলে যাবেন স্ত্রী-কন্যাদের কাছে।
আজ মিরপুরে বোর্ড মিটিং শেষে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য নিজেই জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
জাতীয় দল দেশে থাকতেই গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নাও খেলতে পারেন সাকিব। আবার এমনও শোনা গিয়েছিল, সাকিব নাকি ছুটির আবেদন করেছেন।
তবে জাতীয় দল দেশ ছাড়ার পর বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, ‘সাকিব ওয়ানডে খেলবে না, এমন কোনো খবর তার জানা নেই। আনুষ্ঠানিকভাবেও কিছু জানায়নি।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ শেষ হতেই খবর, সাকিব ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন না। মিরপুরে আজ বিসিবির বোর্ড মিটিং শেষে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হওয়ার পর সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে সাকিবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাকিব আমার কাছে না খেলার কথা বলেনি।
কোন ছুটির আবেদনও করেনি। তবে আমাদের ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে জানিয়েছে, সে ওয়ানডে খেলতে চায় না।
তাহলে ব্যাপারটা কী দাড়ালো? সাকিব কী আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডকে জানিয়েছেন, তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেবেন না? পাপনের ব্যাখ্যা, ‘যেহেতু জালাল ভাই (জালাল ইউনুস) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান, তার কাছে জানানো মানে অফিসিয়ালি বলাও যায়।
আগামী ২ ও ৩ জুলাই প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হবে ডোমিনিকায়। ৭ জুলাই গায়ানায় অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি। এরপর তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে গায়ানাতেই। এই সিরিজের ম্যাচগুলো হবে ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই।