Breaking News

উইন্ডিজদের বিপক্ষে ফলে ফলোঅনে পড়েও ড্র করলেন আফিফরা

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের শুরুতে রানচাপায় পড়েছিল বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছেও আউট হওয়া দুই ব্যাটারের কল্যাণে ৪২৭ রানে বড় স্কোর গড়ে সফরকারীরা। যার জবাবে আফিফ হোসেনের দল মাত্র ২৬৪ রানেই

অলআউট হয়ে যায়। ফলে ফলোঅনে পড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচটি দারুণভাবে ড্র করেছে তারা। স্বাগতিকদের হয়ে দুই ইনিংসেই জাকের আলী ব্যাটে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনটি

চারদিনের অনানুষ্ঠানিক টেস্টের সিরিজ চলছে। আনুষ্ঠানিক টেস্ট ম্যাচের চেয়ে একদিন কম হওয়ায় এই ম্যাচের ফলে কিছুটা সুবিধা পেয়েছে স্বাগতিকরা। কেননা চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার আগে আফিফরা ১৮৭ রান করতেই ৭ উইকেট পড়ে যায়।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করা উইন্ডিজদের তিন ব্যাটারই ৮০-এর ওপরে ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান। তেজনারায়ণ চন্দরপল ৮৩, কার্ক ম্যাকেঞ্জি ৮৬ এবং অ্যালিক আথানাজে করেন ৮৫ রান।

এছাড়া উইন্ডিজ ‘এ’ দলের অধিনায়কের ৭৭ রানের ইনিংসে তারা ৭ উইকেটে ৪২৭ রানের বড় সংগ্রহ পেয়ে যায়। এরপরই তারা ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের হয়ে মুশফিক হাসান ৩টি, নাঈম হাসান ২টি এবং রিপন মন্ডল ও সাইফ হাসান

একটি করে উইকেট নিয়েছেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন ওয়ানডাউনে নামা সাইফ হাসান। এই রান করতে তিনি মাত্র ৭১ বল খেলেছেন।

এছাড়া জাকের আলী ৬৫ এবং অধিনায়ক আফিফ করেন ৪৫ রান। উইন্ডিজদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন জ্যায়ার ম্যাকঅ্যালিস্টার। এদিকে, ফলো-অনে পড়ায় আফিফের দল আবারও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন।

এরপর ৭ উইকেটে ১৮৭ রান সংগ্রহ করলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। শুরুতেই ওপেনার জাকির হাসানের উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ২৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ওপেনার সাদমান ইসলাম জুটি বাধেন মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে।

দলীয় ৯৪ রানে জয় আউট হলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন সাদমান। তার ব্যাটে আসে ৬৪ রান। এরপর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা জাকের ৩৬ রান করেন। রিশাদ অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে। এরপর আর কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান পাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *