ইংল্যান্ড টেস্টের প্রথম ইনিংসে জনি বেয়ারস্টোর ‘ওয়ানডে’ মেজাজে সেঞ্চুরি করে উঠে এলেন আফ্রিদি, তামিমদের কাতারে।আগের টেস্টে শেষ সেশনে তাণ্ডব বইয়ে দিয়েছিলেন জন্যাথন বেয়ারস্টো।
নটিংহ্যাম টেস্টে সেই ‘টি-টোয়েন্টি’ তাণ্ডবের পুনর্মঞ্চায়ন লিডসেও করতে পারেননি। তবে যা করেছেন তাও কম কীসে? দল যখন ধুঁকছিল, দারুণ প্রতি-আক্রমণের পসরা সাজিয়ে এবার তিনি করেছেন ‘ওয়ানডেসুলভ’ এক সেঞ্চুরি।
দলকে স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে তো গেছেনই, বিরল এক কীর্তিতে শহিদ আফ্রিদি, তামিম ইকবাল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের পাশে গিয়ে বসেছেন তিনি।
ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরিতে ৩২৯ রান তুলে ইনিংস শেষ করা নিউজিল্যান্ড বোলিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিল ৫৫ রানেই। তাতে রীতিমতো খাদের কিনারেই চলে গিয়েছিল স্বাগতিকরা।
এরপরই শুরু বেয়ারস্টোর লড়াইয়ের, সঙ্গী হিসেবে পেলেন জেমি ওভারটনকে। দু’জন মিলে দ্বিতীয় দিনে আর কোনো সমস্যায় পড়তে দেননি ইংলিশদের। গড়েছেন ২০৯ রানের এক জুটি।
বেয়ারস্টোই সেই জুটির মূল কারিগর। ১২৬ বল খেলে ২১টি চারের সাহায্যে তিনি করেছেন অপরাজিত ১৩০ রানের ইনিংস। ইনিংসের প্রায় পুরোটা জুড়ে ১০০’র ওপরেই থেকেছে তার স্ট্রাইক রেট।
সেঞ্চুরির সময়ও ছিল। তাতেই বিরল এক কীর্তিতে ভাগ বসিয়ে নেন তিনি। টানা দুই ইনিংসে ১০০’র বেশি স্ট্রাইক রেটে সেঞ্চুরির কীর্তি এ পর্যন্ত তিন বার দেখেছে টেস্ট ক্রিকেট।
২০০৬ সালে ভারতের পাকিস্তান সফরে শহিদ আফ্রিদি লাহোর আর ফয়সালাবাদে খেলেছিলেন যথাক্রমে ৮০ বলে ১০৩ আর ১২৮ বলে ১৫৬ রানের ইনিংস।
এর চার বছর পর ২০১০ সালের বাংলাদেশের ইংল্যান্ড সফরে তামিম ইকবাল লর্ডসে ৯৪ বলে সেঞ্চুরির পর ম্যানচেস্টারে ১০০ বলে করেন সেঞ্চুরি। এরপর ২০১৪ সালে ম্যাককালাম পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ইনিংসে ১০০’র বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে করেন সেঞ্চুরি।
টানা দুই ম্যাচে ১০০’র বেশি স্ট্রাইক রেটে সেঞ্চুরি দিয়ে এবার তাতে ভাগ বসিয়েছে বেয়ারস্টো। তাতে ইংল্যান্ডের আশাটাও টিকে রইলো ভালোভাবেই। এর আগের টেস্টেও নিউজিল্যান্ডের সাথে জয় পেয়েছে ইংলিশরা।