শুরুটা হয়েছিল বরাবরের মতোই বিভীষিকাময়। টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। এশিয়া কাপে পাওয়া নতুন ওপেনিং জুটি নামিয়েও লাভ হয়নি। ইনজুরির কাটিয়ে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে আশা জাগিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন দাস।
৭৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন চার নম্বরে প্রমোশন পাওয়া আফিফ হোসেন ধ্রুব। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও খারাপ করেননি।
তাদের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করেন সাব্বির রহমান আর মেহেদি মিরাজ।
প্রথম ওভারেই মিরাজের ব্যাট থেকে আসে বাউন্ডারি। পরের ওভারেই ছন্দপতন। তিন বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান সাব্বির রহমান। সাবির আলীর বলে ক্যাচ নেন বাসিল হামিদ।
দলীয় ১১ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা লিটন দাস এসেই তিনটা বাউন্ডারি হাঁকান। ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান বাজে শটে ক্যাচ দিয়ে।
১৪ বলে ১২ রান করা অপর ওপেনার মেহেদি মিরাজকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন জাওয়ার ফরিদ। এরপর মেইয়াপানের বলে ইয়াসির আলী (৭ বলে ৪) বোল্ড হলে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
একপ্রান্ত আগলে হাত খুলে মারার চেষ্টা করতে থাকেন আফিফ। ৭ বলে ৩ রান করা মোসাদ্দেক হোসেন ফিরেন স্টাম্পড হয়ে। একাই লড়তে থাকেন আফিফ। তার সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক সোহান।
দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে আফিফ ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন। সোহানও ভালোই খেলেছেন। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মারেন। দুজনে মিলে ৬ষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৫৪ বলে ৮১* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
আফিফ হোসেন ৫৫ বলে ৭ চার তিন ছক্কায় ৭৭* এবং সোহান ২৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৫* রানে অপরাজিত থাকেন।