Breaking News
malware
malware

আন্তর্জাতিক চক্র ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থ হাতিয়ে নিত

আন্তর্জাতিক এক অপরাধী চক্র ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে ৪০ হাজার মানুষের কাছ থেকে অনলাইনে ১০ কোটি ডলার চুরি করেছে।মোট ছয়টি দেশের সমন্বিত পুলিশি কর্মকাণ্ডে এই অপরাধী চক্রটি অবশেষে ভেঙে দেয়া হয়েছে।এর মধ্যে ১০ জনকে পাকড়াও করে তাদের নানা ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, ‘গজনাইম’ নামের এটি ম্যালওয়্যার দিয়ে কম্পিউটারে প্রবেশ করে এই অর্থ চুরি করা হতো।

দুটি ম্যালওয়্যারের হাইব্রিড এটি। এই ম্যালওয়্যার দিয়ে গোপনে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের অনলাইন ব্যাংকিং-এর তথ্য চুরি করে হাতিয়ে নেয়া হতো অর্থ।এই চক্রের মূল শিকার ছিল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, আইনজীবীদের কোম্পানি, আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য সাইবার অপরাধীদের এই ম্যালওয়্যার অর্থের বিনিময়ে ব্যাবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হতো। অন্য অপরাধীদের কাছে এটি সম্পর্কে গোপন বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা ছিল।

সাইবার জগতে দক্ষ ব্যক্তিরা এই চক্রের জন্য ভাড়ায় কাজ করতো।দা হেগে অবস্থিত ইউরোপিয়ান পুলিশের এজেন্সি ইউরোপোলের সদরদপ্তর থেকে এই অভিযানের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, খুব জটিল ও বিস্তৃত সাইবার অপরাধ ছিল এটি। আর এটি ঠেকাতেও লেগেছে জটিল সাইবার অপরাধ বিরোধী পুলিশি ব্যবস্থা। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, ইউক্রেইন ও মলদোভিয়ার পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গে এই চক্রের দশজনকে অর্থ চুরি, কালোটাকা সাদা করা ও অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার পাঁচ নাগরিককে এখনও খুঁজছে পুলিশ, যাদের একজন ‘গজনাইম’ নামের এই ম্যালওয়্যারটি তৈরি করেছেন। সেটির ব্যবস্থাপনা করতেন তিনি। চক্রের নেতা ও প্রযুক্তিগত সহযোগীর বিরুদ্ধে জর্জিয়াতে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে বুলগেরিয়া থেকে একজনকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে ‘গজনাইম’ যাতে সনাক্ত করা না যায় সেই কাজে যুক্ত একজনকে মলদোভিয়াতে বিচার করা হচ্ছে। এছাড়া জার্মানিতে দুজনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র: আন্তর্জাতিক মিডিয়া ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *