Breaking News

আইপিএলে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই লজ্জার রেকর্ড শচিন-পুত্র অর্জুনের

আগের ম্যাচেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ ওভারে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন শচিন-পুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার। এবার ঠিক পরের ম্যাচেই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে এক

ওভারে ৩১ রান দিয়ে অনাকাঙ্খিত এক লজ্জার মুখোমুখি হলেন তিনি। শনিবার মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বল হাতে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না অর্জুন। বল হাতে তিন ওভার হাত ঘোরান শচিন পুত্র। এই ৩ ওভারে দিয়েছেন ৪৮ রান।

পাশাপাশি ১টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। তবে নিজের করা তিন নম্বর ওভারটি সারা জীবনের জন্য ভুলে যেতে চাইবেন তিনি। এই ওভারেই ৩১ রান দিয়ে বসেন অর্জুন টেন্ডুলকার। একটি ওয়াইড এবং একটি নো বলে চার রানও রয়েছে এর মধ্যে।

ফলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি দ্বিতীয় বোলার, যিনি এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দিলেন। বলা যায় আইপিএলের ইতিহাসে এক ওভারে সর্বাধিক রান দেওয়া মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বোলারদের তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এলেন অর্জুন।

প্রথম স্থানে রয়েছেন ড্যানিয়েল সামস। তিনি এক ওভারে ৩৫ রান দিয়েছিলেন। পাঞ্জাবের ইনিংসের ১৬তম ওভারে এই ঘটনা ঘটেছে। তখন ক্রিজে ছিলেন স্যাম কারান ও হারপ্রিত সিং। প্রথম বলেই অর্জুনকে ছক্কা মারেন কারান।

পরের বল ওয়াইড করেন তিনি। পরের বলে চার মারেন ইংলিশ অলরাউন্ডার কারান। অর্জুনের ৩ নম্বর বলে আসে সিঙ্গেল। চতুর্থ বলে চার মারেন হারপ্রিত। ৫ নম্বর বলে ছক্কা মারেন তিনি। পরের বলটি নো-বল করেন অর্জুন।

সেই বলেও চার মারেন হারপ্রিত। পরের ফ্রি হিটের বলে আবার একটি চার মারেন এই ব্যাটার। অর্জুনের পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিন জন বোলার। ২০১৪ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে পবন সুয়াল,

২০১৯ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে অ্যালজারি জোসেফ ও ২০১৭ সালের পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে মিচেল ম্যাকলেনঘান ২৮ রান দিয়েছিলেন এক ওভারে। অর্জুনের ওভারে ৩১ রান নেওয়ার ফলে পাঞ্জাব কিংসের ইনিংসে গতি আসে।

নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করতে সমর্থ হয়। এই ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ইনিংসের প্রথম ওভার করেন এই বাঁ-হাতি পেসার। সেই ওভারে তিনি মাত্র পাঁচ রান দেন।

পাওয়ারপ্লের পরে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দেন ১২ রান। এরপর ১৬তম ওভার বল করতে এসেই বেদম পিটুনি খেতে হয় তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *