টানা ব্যর্থতায় সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন রিয়াদ। এরপর ১৯ ইনিংসে ৪১ রানই তার সর্বোচ্চ।
তবে রিয়াদের ছোট ছোট ইনিংসগুলোকে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
একটু ওপরের দিকে খেলার সুযোগ পেয়ে ৬৯ বলে ৪১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। তবে এই ইনিংসে দুইবার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
একবার বোল্ড হয়েও বেঁচে গেছেন নো বলের কারণে, আরেকবার রিভিউ নেওয়ার সুযোগ হারিয়েছে উইন্ডিজ। তবুও মাহমুদউল্লাহকে প্রশংসা বন্যায় ভাসাচ্ছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ‘৩, ৪, ৫ নম্বর ব্যাটসম্যান ছিল না রাব্বিসহ।
এই তিন জন খেলোয়াড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রিয়াদ ভাইয়ের জন্য ২৫–৩০ রানও অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এক–দুটি ব্যর্থতার পর আমরা যখন পেছন ফিরে তাকাই তখন শুধু ২৫ রান, ২৮ রান দেখি। কিন্তু ওই ২৫, ২৮ রানের গুরুত্ব অনেক বেশি থাকে।
গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখনো অর্ধশতকের দেখা পাননি মাহমুদউল্লাহ। রোববারের ম্যাচের ৪১ রানই তার সর্বোচ্চ। এ সময়ের মধ্যে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫ বার।
মাহমুদউল্লাহ যেখানে ব্যাট করেন, সেখানে চাইলেই বড় ইনিংস খেলা সম্ভব নয় জানিয়ে তাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান তামিমের।
এজন্য গত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের উদাহরণ টানলেন তামিম, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটি ওয়ানডের কথা যদি মনে করেন ওখানে ওনার সুযোগই ছিল না বড় ইনিংস খেলার।
এ জন্য আমি মনে করি ওনার বিষয়টা একটু অন্যভাবে দেখা উচিত। কারণ ওনার কাজটা কখনোই প্রশংসা পায় না। সঙ্গে যোগ করেন তামিম, ‘এক-দুই ম্যাচে খারাপ করলে ওই জিনিসগুলোই আমরা তুলে ধরি।
এই দিক থেকে যদি আমরা সবাই একটু শিখি তাহলে ওনার ওপর চাপটা কমে যাবে। আমি খুশি যে তিনি খেলা শেষ করে এসেছেন। আর সব থেকে বড় কথা তার বড় ইনিংস খেলার অভিজ্ঞতা আছে।