Breaking News

অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে বড় অংকের ক্ষতিপূরণ দেবে ‘বিএম ডিপো’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে বড় অংকের ক্ষতিপূরণ দেবে বিএম ডিপো। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া এ দুর্ঘটনায় যারা অঙ্গ হারিয়েছেন তাদের ৬ লাখ এবং আহতদের ৪ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যায় স্মার্ট গ্রুপের জিএম মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী এ ঘোষণা দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিএম কনটেইনার স্মার্ট গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডে যেসব কর্মচারী নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারে শিশু থাকলে তারা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত পরিবারকে ওই কর্মচারীর বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে।

এছাড়া নিহতের পরিবারে উপার্জনক্ষম কোনো সদস্য থাকলে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী। তবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানিয়েছেন, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জন নিহত ও ১৬৩ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চার শতাধিক মানুষ আহত হন।

তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন। রাতেই আহতদের অধিকাংশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেককে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীও রয়েছেন। এছাড়া রোববার (৫ জুন) সকালেও বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত চমেক হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্যমতে, এ অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে মুমূর্ষু ১৬৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), চট্টগ্রাম সিএমএইচ ও অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মুমূর্ষু ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। তাদের মধ্যে ২১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

এই ২১ জনের মধ্যে ৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *