Breaking News

সিনিয়র খেলোয়াড়দের কারণেই জুনিয়ররা সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিল না ‘সুজন’

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে বড়সড় পরিবর্তন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্ব আর অফফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। দুশ্চিন্তা ছিল এই ফরম্যাটে মুশফিকুর রহিমের পারফরম্যান্স নিয়েও।

এই দুজনকেই আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। সাকিব আল হাসান ছুটি নিয়েছেন আগেই। তামিম ইকবাল কদিন আগে জানিয়ে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের কথা।

মাশরাফি বিন মর্তুজা তো এই ফরম্যাট ছেড়েছেন সেই ২০১৭ সালে। অর্থাৎ সিনিয়রদের কেউই থাকছেন না আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টিতে। দলকে নেতৃত্ব দেবেন তরুণ নুরুল হাসান সোহান।

টিম ম্যানেজম্যান্টের এই দিনবদলের সিদ্ধান্তে অনেকে বাহবা দিচ্ছেন, অনেকে করছেন সমালোচনা। তবে টি-টোয়েন্টিতে দল যেহেতু ভালো করছিল না, এই পরিবর্তনটা দরকার ছিল বলেই মনে করেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।

তিনি বলেন, ‘আমি সবার আগেই বলেছি বাংলাদেশ ক্রিকেট গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্যক্তি, কোনো নাম, কোনো কিছুই গুরুত্বপূর্ণ না। আমরা চাই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে বোর্ড চায় আমরা এই ফরম্যাটটা ভালো খেলছি না।

এই ফরম্যাটে সময় এসেছে আমরা অন্য কিছু করতে পারি কিনা। তো অন্য কিছু করতে গেলে আপনিতো হঠাৎ করে তৈরি করতে পারবেন না।

আপনি একটা জিনিস করতে পারেন স্বাধীনভাবে ক্রিকেট খেলা আপনি যদি ১৫০ এর বেশি স্কোর নিয়মিত করতে পারেন  তারপরে আপনি ভালো বোলিং ফিল্ডিং করলে ম্যাচ জিতবেন। অন্যথায় বেশি রান করেও ম্যাচ জেতা সম্ভব না।

কিন্তু এই ১৫০ করাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে আমাদের জন্য। আমরা খেলোয়াড়দের মাথায় এটাই ঢুকাতে চাই যে দুই-তিনজন ভয়ডরহীন খেললে হবে না। পুরো দলকেই ভয়ডরহীন খেলতে হবে, বোধ বুদ্ধি দিয়ে খেলতে হবে।

সুজন মনে করেন, জাতীয় দলে সিনিয়রদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তারা তো সারাজীবন খেলবেন না, তাই এখন থেকেই পরবর্তী প্রজন্ম তৈরির চেষ্টা করতে হবে। সুজনের কথা সিনিয়রদের কারণে জুনিয়ররা পজিশন অনুসারে ব্যাট করতে পারছিল না।

ওভার কমে গেলে একজন নেমে গেছে তাড়াতাড়ি। আমরা চাই এগুলো থেকে ওদের একটা স্বাধীনতা দিতে সুযোগ দিতে। দেখা যাক তারা কী করে। আর যেটা আমি বললাম রিয়াদ, মুশফিক, সাকিব এরা কিন্তু পরীক্ষিত।

তাদের দেখার কিছু নাই, বাংলাদেশকে অনেক বড় বড় ম্যাচ জিতিয়েছে। দিন শেষে তারা সারাজীবন ক্রিকেট খেলবে না, এটাও সত্য। আমাদের চাওয়া তারা থাকা অবস্থায় যেন আরেকটা শক্তিশালী বাংলাদেশ দল তৈরি হয়।

টিম ডিরেক্টর যোগ করেন, ‘তাদের (সিনিয়রদের) অবদান অনস্বীকার্য। আবার আমি মনে করি তাদের এটা দায়িত্বও ওরা যেমন ছোট থেকে বড় হয়েছে জুনিয়রদের সে ব্যাটনটা দিয়ে বলবে যে এটাই সময় তোমরা হাতে নাও।

এটা তো বলবে একদিন না একদিন। সে জন্য আমাদের নতুন কিছু খেলোয়াড় তৈরি করা। এগুলো আমাদের মাথায় ছিল। আশা করি জিম্বাবুয়েতে সফল একটা সফর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *