আরো একটি ব্যর্থ সিরিজ শেষ করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যাকে এখন পর্যন্ত অন্যতম প্রতিভাবান হিসেবে বিবেচনা করে আসছেন নির্বাচকরা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে একবার দল থেকে ছিটকে গেলে ফিরে আসা খুব কঠিন।
যার জ্বলন্ত উদাহরণ সৌম্য সরকার। যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছিলেন, কিন্তু এখন ঘরোয়া লিগেও সুযোগ পেতে কষ্ট হয়! তা ছাড়া এনামুল হক বিজয়ের লেগে গেল তিন বছর।
ঘরোয়া ওয়ানডে ফরম্যাটের খেলাই ভালো করে জাতীয় দলে ফিরলেও দুর্ভাগ্যের বিষয় তিনি ৫০ ওভারের ফরম্যাটে খেলতে সুযোগ পাননি। এটা দেশের ক্রিকেটের সিস্টেমের সমস্যা। তার বদলে হুট করেই একাদশে নেওয়া হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে।
যিনি সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন দেড় বছর আগে। উইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচই খেলেছেন শান্ত, কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
তিন ম্যাচে তার সংগ্রহ যথাক্রমে ৩৭, ২০ এবং ১ রান। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরে তিনি সুযোগ পাবেন কি না সেটাই এখন সংশয়ে পড়ে গেল। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে শান্তর গড় যথাক্রমে ২৬.০৮, ১৩.৭২ এবং ১২.৬৬।
এমন পারফরম্যান্সের পরও শান্তর ওপর আস্থা রেখে যাচ্ছে দল। তাকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রবিবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হয়ে আসা স্টুয়ার্ট ল তার সাবেক শিষ্য শান্তকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
সিরিজ শেষে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শান্ত। কিন্তু রানে ফিরতে পারছেন না। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ দল তার ওপর আর কত দিন আস্থা রাখে।