Breaking News

যে সব রোগের ঝুঁকি বাড়ে, রাতে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমালে !

শারীরিক সুস্থতার জন্য ঘুম সবারই কম বেশী প্রয়োজন। শারীরিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম সবার জন্যই প্রযোজ্য। তবে বর্তমানে জীবনযাপনে অনিয়মের কারণে অনেকেই অনিদ্রাসহ ঘুম সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভুগছেন। যা শরীরে মারাত্মক রোগ ডেকে আনছে। এমনকি রাতে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমানোর কারণেও স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে, বলে জানাচ্ছে এক গবেষণা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি আসলে কোন পরিবেশে ও কীভাবে ঘুমাচ্ছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ঘুম ঠিক হবে কি না তা অনেকটাই নির্ভর করে পরিবেশের উপর। সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী ঘুমের নানাদিক নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাদের গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল পিএনএএসে।

গবেষণাটি করেছেন আমেরিকার নর্থওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, রাতে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমালে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। এর মধ্যে হৃদরোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস অন্যতম। তাই ঘুমের বিষয়ে এখন থেকেই সবার উচিত যত্নবান হওয়া।

এবার জেনে নিন ঘুমের উপর আলো কী কী প্রভাব ফেলেঃ-  গবেষকরা জানাচ্ছেন, ঘুমের সময় ঘর অন্ধকার করে রাখা উচিত সবারিই। কারণ ঘুমের সময় আলো থাকলে ওই ঘুম গভীর হয় না। আবার শরীরে বাড়তে পারে ইনসুলিন রেজিস্টেন্স। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে।

গবেষণার সময় বিশেষজ্ঞরা দেখেন, রাতে ঘুমের সময় ঘরে আলো জ্বালানো থাকলে শরীরের ভেতরে আলোড়ন তৈরি হয়। এ কারণে অজান্তেই বেড়ে যায় হৃদস্পন্দন। এক্ষেত্রে পুরো শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত ঘুরতে থাকে।

অপ্রয়োজনে এভাবে হার্টের কার্যকারিতে বেড়ে যাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে অনেক সমস্যা। এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও এই কারণে অনেকটাই বাড়ে। তাই সতর্ক থাকুন। রাতে ঘরে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমালে রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়তে পারে। যাকে বলা হয় ডায়াবেটিস। এই রোগে একবার আক্রান্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল।

গবেষণা বলছে, একটি ছোট ডিম লাইট জ্বালিয়ে ঘুমালেও শরীরের ইনসুলিন রেজিস্টেন্স দেখা দিতে পারে। এর ফলে বাড়তে থাকে সুগার। নর্থওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. ড্যানিয়েল গ্রিমালদি এ বিষয়ে জানান, ঘুমিয়ে পড়ার পরও অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম কাজ করতে থাকে।

এক্ষেত্রে যদি ঘুমের সময় হার্টরেট কম থাকাটাই সবচেয়ে ভালো। তবে ঠিকমতো না ঘুম হলে হৃদগতি বেড়ে যেতেই থাকে। তাই ঘুমের সময় প্রতিটি মানুষকে অরও বেশি সতর্ক হয়ে উঠতে হবে। তবেই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। গবেষক দল জানিয়েছে, ভালো ঘুম হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

ঠিকমতো ঘুমাতে পারলেই অনেক সমস্যার হতে পারে সমাধান। এক্ষেত্রে শরীর ও মানসিক পরিস্থিতি ভালো থাকে। মানুষিক সান্তির উন্নতি ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *