Breaking News

মুমিনুলের ব্যাটিং পারফর্ম ক্ষতি হওয়ার পিছনের কারন জানালেন ‘সুজন’

মূলত দল নিয়ে বেশি ভেবেই মুমিনুল নিজের ব্যাটিংয়ের ক্ষতি করেছে। বাকিরা আগেই চলে গেছেন। ক্রিকেটারদের মধ্যে বাকি ছিলেন শুধু মোস্তাফিজ আর তাইজুল। কাটার মাস্টার এবং বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুলও আজ রাতে ঢাকা ছেড়েছেন।

টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন আর তাইজুল ও মোস্তাফিজকে নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট দোহার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে। দোহা হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবেন তারা।

প্রসঙ্গতঃ এর আগে ৩, ৫ ও ৬ জুনে তিন ভাগে ভাগ হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গেছেন ক্রিকেটার, কোচ ও কর্মকর্তারা। আজ ৩ সদস্যের ছোট্ট বহরটিই ছিল টেস্টের আগে শেষ।

বুধবার রাতে দেশ ছাড়ার আগে জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপে সদ্য অধিনায়কত্ব ছাড়া মুমিনুলকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। টাইগার টিম ডিরেক্টরের আশা অধিনায়কত্বের চাপমুক্ত হয়ে মুমিনুল হয়তো আবার নিজেকে ফিরে পাবে।

সুজনের ধারনা, ব্যাটিং নিয়ে অধিনায়ক হিসেবে দল নিয়ে বেশি চিন্তা করে করেই নিজের ব্যাটিংয়ের ক্ষতি করেছে মুমিনুল। টাইগার টিম ডিরেক্টরের মূল্যায়ন, অধিনায়ক হিসেবে তার সাফল্য কী? তাকে অধিনায়ক হিসেবে কে কিভাবে মূল্যায়ন করেন, ‘আমি তা জানি না।

তবে আমি যেহেতু তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তা দেখে মনে হয়েছে মুমিনুল অধিনায়ক হিসেবে মন্দ না এবং সবচেয়ে বড় কথা টেস্ট দলকে নিয়ে তার চিন্তা ছিল প্রচুর। বাংলাদেশ টেস্ট দলকে নিয়ে সে ভাবতো।

কী করে দলটির উন্নতি হয়, কিভাবে টেস্ট দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে চিন্তা তার মাথায় ছিল। এবং আমার মনে হয় টেস্ট দল নিয়ে একটু বেশিই চিন্তা করতো মুমিনুল।

অধিনায়ক হিসেবে দল নিয়ে বেশি ভাবনা থেকেই তার মধ্যে এক রকম বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে এবং আমার ধারনা সেই চাপটাই তার ব্যাটিংকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অধিনায়কত্বর চাপে ব্যাটার মুমিনুলের ব্যাটিং হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত।

আধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ায় এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে তার সেই ক্যাপ্টেন্সির চাপটা থাকবে না। আমি তাই আশাবাদী, আমরা ব্যাটার মুমিনুলের কাছ থেকে বেটার পারফরমেন্স পাব। আমি সব সময়ই বলি মুমিনুল ছন্দে থাকলে ভাল খেললে আমাদের দলের জন্য খুব ভাল হয়।

কারণ, সে বেশিরভাগ সময়ই লম্বা ইনিংস খেলে। তাতে আমাদের উপকার হতো। কাজেই সে ফর্মে ফিরলে আমাদের দল উপকৃত হবে। কোচিং স্টাফদের সাথে প্রায় সারা বছর নেটে টাইগারদের দেখেন।

ব্যাটার ও বোলারদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ মেলে। তাই সবার সম্পর্কে ধারণাটাও খুব পরিষ্কার। সে ধারণা থেকেই খালেদ মাহমুদ সুজনের মূল্যায়ন, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুই টেস্টে ভাল করতে না পারলেও নেটে মোটেই খারাপ ব্যাটিং করেননি মুমিনুল মাহমুদুল হাসান জয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত।

সুজনের ভাষায়, ‘বিশ্বাস করেন ওরা তিনজন চট্টগ্রাম ও ঢাকা টেস্টে ভাল ব্যাটিং করতে পারেনি। তিনজনকেই মাঠে অনুজ্জ্বল মনে হয়েছে। আমার মনে হয়েছে মুমিনুল, জয় আর শান্ত নেটে অনেক বেশি ভাল ব্যাটিং করেছে।

যা শুধু আমারই ভাল লাগেনি, হেড কোচ আর ব্যাটিং কোচও খুব সন্তুষ্ট; কিন্তু মাঠে গিয়ে তিনজনই কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে ফেললো। ঢাকা টেস্টে শান্তর রান আউট হওয়া দেখে মনে হয়েছে নার্ভাস। সেই নার্ভাসনেসটা কাটিয়ে উঠতে পারলে আশা করি মুমিনুল, শান্ত আর জয় তিনজনই ভাল খেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *