আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নতুন চক্রের সূচি অনুমোদন করেছে আইসিসি। বার্মিংহামে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার সভায় ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত এ চক্রে ঘোষণা করা হয়েছে নারী ক্রিকেটের আগামী চারটি বিশ্ব আসরের স্বাগতিক দেশের নাম।
যেখানে তিনটি আসরই হবে এশিয়াতে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ। দশ দলের অংশগ্রহণে ২৩ ম্যাচে শেষ হবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের এ বিশ্ব আসর।
বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আয়োজিত হবে এ বিশ্বকাপের। ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাশাপাশি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারও এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
২০২৪ সালের পর এই আসর আয়োজিত হবে ২০২৬ সালে। ওই টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে ইংল্যান্ড। ২০০৯ সালের পর তারা এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে ইংলিশরা।
এছাড়াও একই দিনে ঘোষিত হয়েছে ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৭ নারী নারী আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ। এই দুই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে যথাক্রমে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বার্মিংহামে বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে ২০২৭ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য নারী ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের টুর্নামেন্টে আয়োজক দেশ চূড়ান্ত করেছে।
২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে আইসিসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজন বলেন, “২০২৪ সালে আইসিসি ইভেন্টের পেয়ে বিসিবি গর্বিত।
বিসিবির উপর আস্থা রাখায় আইসিসিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে সুজনের ভাষ্য বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু দিবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।”