Breaking News

বিদেশের মাটিতে ৬৪ টেস্টের মধ্যে মাত্র ৬ টিতে জয় বাংলাদেশর, সমস্যার সমাধান কি ?

বিদেশের মাটিতে টেস্টে বাংলাদেশর রেকর্ড একদমই মেনে নেয়ার মত নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরও একটি টেস্ট হার বাংলাদেশের। রোববার অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিন শুরুতেই মাত্র ৭ ওভার খেলে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ব্যাটিংয়ে চরম হতাশা উপহার দিয়ে বাংলাদেশ হারলো ৭ উইকেটের ব্যবধানে। যা একটু লড়াই করেছিল কেবল বোলাররাই।ক্যারিবীয়দের কাছে এই হারে আবারও প্রমাণিত হলো, বিদেশের মাটিতে টেস্টে বাংলাদেশের বেহাল দশা।

এখনও পর্যন্ত বিদেশের মাটিতে মোট ৬৪টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। এর মধ্যে হেরেছে ৫৪টিতে। জিতেছে ৬টি এবং ড্র করেছে চারটি ম্যাচ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মূলতঃ প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার ধাক্কাই শেষ পর্যন্ত সামলে উঠতে পারেনি সাকিব আল হাসান অ্যান্ড কোং। শেষ দিনে জেতার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল মাত্র ৩৫ রান।

রোববার মাত্র সাত ওভারেই সেই রান তুলে নেন জন ক্যাম্পবেল এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউড। ২০০০ সালে টেস্ট খেলার মর্যাদা লাভের পর এখনও পর্যন্ত মোট ১৩৩টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ।

যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি টেস্ট খেলেছে বিদেশের মাটিতে। ৬৯টি খেলেছে দেশের মাটিতে। মোট জয়ের সংখ্যা ১৬টি। ১০টি ঘরের মাঠে, ৬টি বিদেশের মাটিতে।

যে ৬টি বিদেশের মাটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, এর মধ্যে দুটি রয়েছে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই। ২০০৯ সালে সাকিবের নেতৃত্বেই ওই দুই টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা।

বাকি ৪ জয়ের মধ্যে একটি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে, ১টি শ্রীলঙ্কার মাটিতে এবং ২টি জিম্বাবুয়ের মাটিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সাকিব দোষ চাপালেন টসের উপর।

তিনি বলেন, ‘টস খুব বড় ভূমিকা রেখেছে এই ম্যাচে। আরও ভাল খেলা উচিত ছিল আমাদের। মধ্যাহ্নভোজের আগে ছয় উইকেট হারানো কোনও কাজের কথা নয়।

প্রথম সেশনেই ম্যাচ আমাদের হাতের বাইরে চলে যায়। ব্যাটিং ব্যর্থতা আমাদের বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। বোলাররা চেষ্টা করেছে। নুরুল হাসান ব্যাট হাতে চেষ্টা করেছে।

আমি ইতিবাচক ব্যাট করার চেষ্টা করেছি। মারার বল থাকলে মারব, এই পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ছয় জন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন।

যা ছিল রীতিমত রেকর্ড। সাকিব আল হাসান ৫১ রান করার পরও মাত্র ১০৩ রানে শেষ যায় বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ২৬৫ রান। ১৬২ রানে লিড নেয় তারা।

দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব আল হাসান করেন ৬৩ রান। নুরুল করেন ৬৪ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৫ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৮৪ রানের।

সহজেই সেই রান তুলে নেয় তারা। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাত উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কেমার রোচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *