আফগানিস্তানের বেধে দেয়া ২১৬ রনের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসা ফজল হক ফারুকি ওভারের তৃতীয় বলে তুলে নেন লিটন দাসের উইকেট। এক বল বিরতি দিয়ে পঞ্চম বলে ব্যক্তিগত ৮ রানে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও।
দলীয় ১৪ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সামনে পঞ্চম ওভারে ফারুকির আবারও আসা যেন ছিল ভীতিকর। পঞ্চম ওভারে এসে প্রথম বলেই ফারুকি তুলে নেন ৩ রান করা মুশফিকুর রহিমকে। একই ওভারের শেষ বলে কোনো রান না করা ইয়াসির আলি রাব্বিকে সাজঘরের পথ ধরিয়ে দলীয় ১৮ রানেই ৪ উইকেট তুলে নেন ফারুকি একাই।
খানিক বিরতি দিয়ে ১৫ বলে ১০ রান করা সাকিব আল হাসান প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুজিব উর রহমানের শিকারে পরিণত হয়ে। আফিফ হোসেন ধ্রুবর সাথে মিলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যাট হাতে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে দলীয় ৪৫ ও ব্যক্তিগত ৮ রানে রশিদ খানের শিকারে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ম্যাচের নাটকীয়তা তখন কেবল শুরু হয়।
আফিফ হোসেন ধ্রুবর সাথে সপ্তম উইকেট জুটিতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় মেহেদি হাসান মিরাজের জুটি। ধীরগতির ব্যাটিং করে দুজনেই এদিন তুলে নেন অর্ধশতক।তবে অর্ধশতক হাঁকিয়েই থেমে থাকেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। আফগান বোলারদের সামনে ব্যাট হাতে লড়াই করে ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে দলকে জয় ছিনিয়ে এনে দেন তারা।
১২০ বল মোকাবেলায় ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। তার এই ইনিংসে ছিল ৯টি চারের মার। এছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব ১১৫ বল মোকাবেলায় অপরাজিত ছিলেন ৯৩ রানে। তার এই ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছয়ের মার।এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা আফগানিস্তান শুরুতে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারলেও মাঝখানের ওভারগুলোতে রান তুলতে থাকে।
রহমত শাহর ৩৪ রানের সাথে ব্যাট হাতে এদিন দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন নজিবউল্লাহ জাদরান। তার ৬৭ রানে ভর করে ৪৯ ওভার ৫ বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ ৩টি, সাকিব, তাসকিন, শরিফুল ২টি করে এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিয়েছেন ১টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ