দাম্পত্য জীবনে অনেক সময় অনেকেই ঋণ নিয়ে থাকেন আবার সেটা পরিস ও করে থাকেন অনেকেই অনেক সময় তা আবার পরিসদ ও করতে সমস্যাই পরতে হয়। অভাব কিংবা জরুরি প্রয়োজনে অনেকেই ঋণ নিয়ে থাকেন। তবে দীর্ঘদিন ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে চলা মোটেও ঠিক নয়। এর ফলে পারিবারিক ও দাম্পত্য সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনটায় সাম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
দাম্পত্য কলহ থেকে শুরু করে ডিভোর্স পর্যন্ত হতে পারে ঋণী ব্যক্তিদের। এমনকি পরিবার, আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকেও বিচ্ছিন্ন হতে পারেন। সম্প্রতি আমেরিকার ‘জাতীয় ঋণ সমীক্ষা’ বলছে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন মার্কিন নাগরিকই জানাচ্ছেন যে, তারা ঋণগ্রস্ত অবস্থা পছন্দ করেন না মোটেও।
আর এ কারণে সঙ্গীর ঋণের অংশীদার হতে চান না বলে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটান অনেকেই। সমীক্ষা আরও বলছে, শতকরা ৫৪ জন মার্কিন নাগরিকের মতে, সঙ্গীর ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়া বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট বড় কারণ।কারণ ঋণগ্রস্ত সঙ্গীর অর্থনৈতিক সমস্যার অংশীদার হতে চান না অনেকেই। কিন্তু কেন এমন হয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক দম্পতির মধ্যেই অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব আছে।
হ্যারিস পোলের অনলাইনে পরিচালিত সানট্রাস্ট ব্যাংকের সমীক্ষা অনুসারে, শতকরা ৩৫ শতাংশ মানুষ দাম্পত্য কলহের কারণ হিসেবে অর্থকে দায়ী করেন। অন্যদিকে প্রায় ৪৩ শতাংশ মানুষ সঙ্গীর কাছে লুকিয়ে যান ঋণের কথা। যা আর্থিক অবিশ্বাসের কারণ।আর্থিক অবিশ্বাস হলো, যখন একজন অংশীদার ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থের বিষয়ে সঙ্গীকে সত্য বলেন না।
ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের এক সমীক্ষা অনুসারে, সবচেয়ে বড় অর্থ-সম্পর্কিত মিথ্যা হলো, গোপন ক্রয় (৩১.৪শতাংশ), ঋণ লুকানো (২৮.৭ শতাংশ) ও আয় সম্পর্কে অসততা (২২.৬শতাংশ)। তবে এটি মোটেও ইতিবাচক বিষয় নয়। অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কের যাপনের উপর অত্যন্ত বড় প্রভাব ফেলে, তাই অর্থনৈতিক টানাপড়েন নিয়ে অবগত থাকা উচিত দু’জনেরই।