Breaking News

তাসকিন-মিরাজদের সতর্ক করবে ‘এজটেন সফটওয়্যার’

ক্রিকেটারদের সামর্থ্য পরিমাপের জন্য প্রযুক্তি ‘এজটেন সফটওয়্যার’ কি ভাবে কাজ করে? মূলত খেলোয়াড়দের ওপর কাজের চাপ বেশি হয়েছে কিনা এবং অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক সক্ষমতা কোন পর্যায়ে আছে সেটা বুঝতে এখন প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছে অনেকেই।

সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল), মেজর সকার লীগ, বেসবল লীগ ছাড়াও ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের বেশ কিছু ক্লাব। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও কিনেছে ইংল্যান্ডের তৈরি এজটেন সফটওয়্যার।

যে কোন খেলোয়াড়ের শারীরিক অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে জানার জন্য দারুণ কার্যকর এই সফটওয়্যারে অবশ্য কিছু তথ্য দিতে হবে।

সারাবছর ক্রিকেটারদের দম ফেলানোর ফুরসত থাকে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটও নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হয় তাদের। একজন ক্রিকেটারের পক্ষে এতসব ম্যাচ খেলে পুরোপুরি ফিট থাকা প্রায় অসম্ভব।

সিনিয়র ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চাইলেও জুনিয়রদের অনেকের পক্ষেই সেই সুযোগ থাকে না। এই কারণেই প্রয়োজনবোধ হচ্ছে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের। বিসিবি বছর দুয়েক হলো ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করছে।

এজন্য ইংল্যান্ডের তৈরি এজটেন সফটওয়্যারও কিনেছে বোর্ড। অ্যাথলেটদের ওয়ার্কলোড নির্ণয় করে এই সফটওয়্যার। এটি ব্যবহার করছে একাধিক ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএল, মেজর সকার লিগ ও বেসবল লিগের দল।

সামনে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী মনে করছেন। সফটওয়ারে প্রথমে ক্রিকেটারদের কার্যবিবরণী দেওয়া হয়।

যেমন, একজন খেলোয়াড় কতক্ষণ মাঠে ছিলেন, কতক্ষণ রানিং করেছেন, বোলার কত ওভার টানা বোলিং করেছেন, কতক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছেন, আবার বোলিং করেছেন, ফিল্ডিং করেছেন।

ঠিক একইভাবে একজন ব্যাটসম্যান কতক্ষণ ব্যাটিং করেছেন, সেসব তথ্য ইনপুট দেওয়া হয়। সেই তথ্য যাচাই করে সফটওয়্যার বলে দেবে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ফল। ফল ভালো হলে সবুজ সংকেত দেবে। ফল খারাপ হলে লাল সংকেত দেবে।

দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের যে ওয়ার্কলোড সফটওয়্যার আছে, সেটাই আমাদের বলে দেবে যে কোন খেলোয়াড় রেড জোনে প্রবেশ করছে, কোন খেলোয়াড়ের ওয়ার্কলোড বেড়ে যাচ্ছে। যদি দেখি কোনো খেলোয়াড়ের ওয়ার্কলোড বেড়ে যাচ্ছে তাকে সতর্ক করা হবে।

টিম ম্যানেজমেন্টকে জানানো হবে। ধারণা করা হতো, শুধু পেসারদেরই এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। তবে বিসিবির এই চিকিৎসক জানালেন, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, ‘এটা পেস কিংবা স্পিন নয়।

স্পিনারদেরও কিন্তু ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার আছে, যেহেতু তারা লম্বা সময় ধরে বোলিং করে। যদিও পেসাররা একটু ভালনারেবল। আমরা এজন্য সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত গ্রহণযোগ্য কিছু ফর্মুলা আছে, সেগুলো আমরা অনুসরণ করছি।

তবে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চলাকালে এই সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে। সামনে ঘরোয়া ক্রিকেটেও আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান দেবাশীষ চৌধুরী,‘যখন জাতীয় দলের ক্যাম্পে খেলোয়াড়রা থাকেন তখন সফটওয়্যার আমরা অনুসরণ করি ওদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য।

এই ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়ি যখন তারা বিসিএল বা এনসিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলতে যান। সামনে আমরা আরও সতর্ক হবো ইনজুরির ব্যাপারে এবং ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারটি ভালো করেই ফলো করতে পারবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *