গত এক দশকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যতটা এগিয়েছে, ঠিক যেন ততটাই পিছিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এক সময় এ দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও, এখন সেটিকে একপেশেই বানিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।
বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে টাইগারদের সামনে দাঁড়াতেই পারে না জিম্বাবুয়ে। সবশেষ ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো ওয়ানডেতে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে গত নয় বছরে ১৯ বারের চেষ্টায় একবারও শেষ হাসি হাসতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
এবার সেই সংখ্যাকে ২২-এ উন্নীত করতে আবারও জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছে টাইগাররা। একে তো প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দুর্বল, যাদের বিপক্ষে রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে ১৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কীর্তি।
এর সঙ্গে আবার সিরিজটি বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ নয়। তাই অভিজ্ঞদের বসিয়ে তুলনামূলক তরুণদের পরখ করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ দলের সামনে।
কিন্তু সেদিকে সায় নেই টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের। তার সোজাসাপটা কথা, প্রতিপক্ষ যে বা যারাই হোক না কেন, জয়ের জন্য সেরা দল নিয়েই নামবেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হওয়ায় এখানে যাকে-তাকে খেলিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তামিম। শুক্রবার রাতে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বাংলাদেশের ওয়ানডে দল।
দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ মাধ্যমে তামিম বলেছেন আমার কাছে মনে হয় না তরুণ বা বৃদ্ধ এটা নিয়ে ইদানিং বেশি কথা হচ্ছে। যারা ক্যাপেবল, তারাই সুযোগ পাবে ১৫ জনে বিশেষত। আর সেরা একাদশ আমরা বেছে নেবো।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার তো মনে হয় তরুণরা সব সুযোগই পাচ্ছে এখন। একটা দলে ১৫ জন থাকে, সবাইকে তো খেলানোর সুযোগ থাকে না। আপনি যদি শেষ সিরিজেও দেখেন, তরুণরাই খেলেছে।
এই সিরিজে মুশফিক ঢুকছে, সে আমাদের জন্য খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে তামিমের শেষ কথা, ‘১৫ জনে অনেক সময় অনেকে গেম টাইম পায় না। এরকম যদি সুযোগ থাকে, আমরা খেলাতে পারি, দলের জন্য ভালো হবে।
কিন্তু যেটা বললাম এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাড়ার কোনো খেলা না যে আমি একে-ওকে খেললাম। যে ডিজার্ভ করে জায়গা, সে অবশ্যই খেলবে। এসময় সিরিজের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন পরিকল্পনা একই থাকবে, জেতার।
আমি সবসময় একটা কথা বলি- কে আগে আছে বা পরে, এটা বিষয় না। অবশ্যই ওদের চেয়ে আমরা ভালো দল, কিন্তু ওদের মাটিতে খুব সহজে হারিয়ে দেওয়া যাবে না।
শেষ কয়েকটা সিরিজ যদি দেখেন, পাকিস্তানের মতো দলও কিন্তু হেরেছে। তামিম আরও বলেন আমাদের রিল্যাক্স করার কোনো সুযোগ থাকবে না।
যদি ভালো করতে চাই প্রথম বল থেকে সুইচ অন থাকতে হবে। অবশ্যই আমরা ভালো দল। কিন্তু খেলা জেতা-হারা নির্ভর করে কে ভালো খেলছে সেটার ওপর- কে ভালো দল সেটা না।’