সমীকরণে এগিয়ে বাংলাদেশ উইন্ডিজদের সাথে সর্বশেষ ৮ ওয়ানডেতেই জয় টাইগারদের। সাকিব আল হাসান পারেননি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ব্যর্থ- তামিম ইকবাল খান কি সফলতার দেখা পাবেন নীল জলরাশির দ্বীপমালায়? রোববার থেকে শুরু হচ্ছে তামিমের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ।
সেটা গায়ানাতেই, যেখানে শেষ টি২০ ম্যাচ হেরেছেন টাইগাররা। সাকিবের নেতৃত্বে টেস্ট এবং মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্বে টি২০-তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলেও ওয়ানডে বলেই আশায় বুক বাঁধছে বাংলাদেশ দল।
এ ফরম্যাটেই যে ক্যারিবীয়দের সঙ্গে রেকর্ডটা একটু ভালো। এখন পর্যন্ত দুই দলের ৪১ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জয় ১৮টি, উইন্ডিজ জিতেছে ২১টি ও দুটি পরিত্যক্ত। এর মধ্যে সর্বশেষ ৮ ওয়ানডেতেই জয়ের হাসি ছিল টাইগারদের মুখে।
ওয়ানডে দলে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। টি২০ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গত বছর টেস্ট থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্য।
তবে তিন ওয়ানডের এ সিরিজের সব ম্যাচে তাকে নাও দেখা যেতে পারে। ৩৬ বছর বয়সী এ তারকাকে বিশ্রাম দিয়ে মোসাদ্দেক হোসেনকে দু-একটি ম্যাচে খেলানো হতে পারে।
সম্প্রতি মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্সে বয়সের ছাপটা স্পষ্টতই ধরা পড়ে। বিষয়টি সবচেয়ে ভালো বোঝা যায় ফিল্ডিংয়ে, আগের সেই ক্ষিপ্রতার ছিটেফোঁটাও এখন তার মাঝে দেখা যায় না।
ব্যাটিংয়েও আগের সেই ধার নেই। সবকিছু বিবেচনায় বিকল্প হিসেবে মোসাদ্দেককে গড়ে তুলতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওয়ানডে সিরিজ থেকে সাকিবের বিশ্রামের বিষয়টিও চূড়ান্ত।
আরেক অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও নেই উইন্ডিজের বিপক্ষে। এ দু’জনের অভাবটা পূরণই টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের কাজটা কঠিন হয়ে গেছে পিঠের ব্যথায় উইন্ডিজ সফর থেকে ইয়াসির আলী চৌধুরী ছিটকে যাওয়ায়।
এখন তামিম ও লিটনের ওপেনিং জুটির পর তিনে এনামুল হক বিজয়কে দেখা যেতে পারে। চারে নাজমুল হোসেন শান্ত ও পাঁচে আফিফকে দেখা যেতে পারে।
ছয়ে মাহমুদউল্লাহ কিংবা মোসাদ্দেক আসবেন। এরপর নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান। টিমম্যানেজমেন্ট প্রয়জন অনুযায়ী ভিন্ন চিন্তাও ভাবতে পারেন।