শেষ টি-টুয়েন্টিতে আশা জাগিয়েও হেরে গেলো বাংলাদেশ। নিকোলাস পুরান ও কাইল মেয়ার্সের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশের বোলাররা।
ক্যারিবীয় দুই ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরিতে অনায়াসে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে তিন ম্যাচের দুটিতে জিতে সিরিজে নিজেদের করে নিলো স্বাগতিকরা।
স্পিনাররাই যা একটু লড়াই করলেন। গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পেসারদের জন্য কিছুই ছিল না বলা যায়। কারণ, মোস্তাফিজ শরিফুলরা ৩ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৪০টি।
ক্যারিবীয়দের যে ৫টি উইকেট পড়লো, তার সবগুলোই নিলেন স্পিনাররা। নাসুম আহমেদ, মাহদি হাসান কিংবা সাকিব আল হাসানরা চেপে ধরার চেষ্টা করলেও নিকোলাস পুরান এবং কাইল মায়ার্সের ব্যাটে ঠিকই সহজ জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়লো স্বাগতিক ক্যরিবীয়রা।
১০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের ব্যবধানে অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে তারা। সে সঙ্গে ৩ ম্যাচের সিরিজটাও জয় করে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ৩৫ রানের ব্যবধানে।
সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশের পূঁজি ছিল মাত্র ১৬৩ রান। ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতেই দারুণভাবে চেপে ধরেছেন দুই স্পিনার।
নাসুম আহমেদ প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দেন। এরপর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন আরেক স্পিনার মাহদি হাসান। ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ক্যারিবীয়দের ইনিংস ওপেন করতে নামেন ব্রেন্ডন কিং এবং কাইল মায়ার্স।
দলীয় ৯ রানের মাথায় ব্রেন্ডন কিংকে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন নাসুম আহমেদ। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন কিং।
এরপর জুটি বাধেন কাইল মায়ার্স এবং সামারাহ ব্রুকস। দলীয় ২২ রানের মাথায় মাহদি হাসানের বলে সামারাহ ব্রুকসের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন এনামুল হক বিজয়। ১২ বলে ১২ রান করে আউট হন ব্রুকস।
বোলিং শুরু করার প্রথম বলে কোনো বোলার যদি উইকেট পেয়ে যান, তাহলে দিনটি তার হতে বাধ্য। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান কি পারবেন দিনটিকে নিজের করে নিতে?
এমনিতেই ২২ রানের মাথায় ২ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবীয়দের চাপে ফেলে দেন নাসুম আহমেদ এবং মাহদি হাসান। ইনিংসের ৭ম ওভারে প্রথমবার বল হাতে তুলে নেন সাকিব আল হাসান।
বল করতে এসেই প্রথম বলে উইকেট নিয়ে নিলেন তিনি। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ওডেন স্মিথকে। সাকিবের ফ্লাইটেড ডেলিভারিটি বুঝতেই পারেননি স্মিথ। স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু বল মিস করেন। তাতেই বল গিয়ে আঘাত হানে ভেতরের পায়ে। সাকিবদের জোরালো আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। স্পষ্ট এলবিডব্লিউ হওয়ার কারণে ব্যাটারও আর রিভিউ নিলেন না।
আউট মেনে চলে গেলেন প্যাভিলিয়নে। ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের চেপে ধরার চেষ্টা করেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু কাইল মায়ার্স আর নিকোলাস পুরান মিলে ৮৫ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিকদের ভালোভাবেই লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন।
৩৮ বলে ৫৫ রান করে নাসুম আহমেদের বলে আউট হন মায়ার্স। এরপর রোভম্যান পাওয়েলকে লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৩৯ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ- ১৬৩/৫ (২০ ওভার) (লিটন ৪৯, বিজয় ১০, সাকিব ৫, আফিফ ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২২, মোসাদ্দেক ১০*; হেইডেন ২/২৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১৬৯/৫ (১৮.২ ওভার) (কিং ৭, ব্রুকস ১২ মেয়ার্স ৫৫, পুরান ৭৪*; নাসুম ২/৪৪, মেহেদি ১/২১)
ফলাফলঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়,