Breaking News

আগামী চার বছরে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

আইসিসির এফটিপিতে (ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম) যেন জ্যাকপট পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে ওয়ানডেতে তুলনামূলক সাবলীল বাংলাদেশ দল। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে এখনও পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পায়নি টাইগাররা।

কিন্তু ওয়ানডেতে ঠিকই নিজেদের শক্তির জানান দেয় নিয়মিত। যার প্রমাণ মেলে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন সিরিজের ফল থেকে। ওয়ানডেতে ভালো খেলা বাংলাদেশের জন্য সুখবর রয়েছে আইসিসির ভবিষ্যত সূচিতে (ফিউচার ট্যুর প্ল্যান- এফটিপি)।

আগামী চার বছরের জন্য প্রস্ততকৃত এফটিপিতে বাংলাদেশের জন্য রাখা হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চসংখ্যক ওয়ানডে ম্যাচ। ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে জানা গেছে এ তথ্য।

এফটিপির ২০২৩-২৭ চক্রে সর্বোচ্চ ৫৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই চক্রে বাংলাদেশ ছাড়া পঞ্চাশের বেশি ওয়ানডে রয়েছে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কা, ৫৮টি। এছাড়া এই চার বছরে এফটিপির অধীনে ৫১টি কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাবে বাংলাদেশ।

সবমিলিয়ে মোট আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে ১৪৪টি। এই চার বছরের চক্রে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে শুধুমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৪৬টি। এছাড়া এই ভবিষ্যত সূচির বাইরে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সমঝোতার ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজও আয়োজন করতে পারবে।

এদিকে আগামী চার বছরে এফটিপিতে মোট ৩৪টি টেস্ট পাবে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে ২০২৩-২০২৫ চক্রে ছয়টি সিরিজ এবং ২০২৫-২০২৭ চক্রে থাকছে আরও ছয়টি টেস্ট সিরিজ।

এর বাইরে কোনো দেশের সঙ্গে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেও সিরিজ আয়োজন করা যাবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২০২৫ চক্রে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলবে নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

এছাড়া বিদেশ সফরে গিয়ে খেলতে হবে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ঘরের মাঠের তিন সিরিজ নিয়ে আশাবাদী হতেই পারে টাইগাররা।

পরের চক্রেই ঘুচবে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলার আক্ষেপ। ফাঁস হওয়া এফটিপি অনুযায়ী, ২০২৫-২০২৭ চক্রে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের তিন সিরিজ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

সবশেষ ২০০৩ সালে অসিদের মাটিতে টেস্ট খেলেছিল টাইগাররা। এই চক্রে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানকে।  এ তিন সিরিজের মধ্যে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভালো করার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশ দলের সামনে।

সবমিলিয়ে এই দুই চক্রে বাংলাদেশের টেস্টের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৪টি। ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইসিসির পরবর্তী দুই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড- ৪২টি।

এছাড়া ৩০-র বেশি ম্যাচ খেলবে আর মাত্র চারটি দেশ। তারা হলো অস্ট্রেলিয়া (৪১), ভারত (৩৮), বাংলাদেশ (৩৪) ও নিউজিল্যান্ড (৩২)। তবে চার বছরের চক্রে ৩৪টি টেস্ট বাগিয়ে নিয়ে সত্যিই চমক দিয়েছে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *