Breaking News

আইসিসি সুপার লিগে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও বাংলাদেশিদের দাপট

বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শেষ হয়েছে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগ। ওডিআই র‌্যাঙ্কিংয়ে কখনো সেরা পাঁচে থাকতে না পারলেও তিন বছর ধরে চলা সুপার লিগে তৃতীয় অবস্থানে থেকে শেষ করেছে বাংলাদেশ।

তামিমদের ওপরে আছে কেবল নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। এছাড়া পেছনে ফেলেছে ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তিকে। ওয়ানডেকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার চিন্তা থেকে ২০২০ সালে চালু হয় আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগ,

যা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্ব হিসেবেও স্বীকৃত। লিগের ফরম্যাট অনুযায়ী ৩ বছরের চক্রে ২৪টি করে ম্যাচ খেলার কথা ছিল। যেখানে ২৪ ম্যাচ খেলে ১৬ জয়ে মোট ১৭৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে নিউজিল্যান্ড।

অন্যদিকে, ১৫ জয়ে ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। অবশ্য বাংলাদেশের মোট পয়েন্টও ইংল্যান্ডের সমান ১৫৫। তবে ইংলিশদের চেয়ে রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তৃতীয় স্থানে টিম টাইগার্স।

জস বাটলার বাহিনীর নেট রান রেট ০.৯৭৬ আর তামিম ইকবালদের ০.২২০। তবে সুপার লিগ পর্বে নানা কারণে সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারেনি অনেক দেশই। এছাড়া আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ায় মূলপর্বে খেলা এমনিতেই

নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের। স্বাগতিক দেশটিসহ মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়া বাকি সাত দল হচ্ছে- নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি দুই দল জায়গা নেবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে।

আগামী জুন-জুলাই মাসে জিম্বাবুয়ের মাটিতে হবে বাছাইপর্ব। সেখানে সুপার লিগ থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়া বাকি পাঁচ দলের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস) সঙ্গে লড়বে প্রাক-বাছাই

পেরিয়ে আসা আরও পাঁচটি দল। তারা হলো নেপাল, ওমান, স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, ওয়ানডে সুপার লিগে শুধু দলগত অর্জনেই নয়, ব্যক্তিগত অর্জনেও আধিপত্য রয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা দশে আছেন বাংলাদেশের দুজন করে। ব্যাটারদের মধ্যে ওপেনার তামিম ইকবাল ৩৪.০৪ গড়ে ৭৮৩ রান নিয়ে আছেন সপ্তম স্থানে।

আর ৪৪.৪১ গড়ে ৭৫৫ রান তুলে দশম স্থানে আছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটার। অন্যদিকে, ২০ ম্যাচে ৩১ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় সেরা

ছয়ে আছেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ২৩ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়ে ৯ নম্বরে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটকিপিং আর ক্যাচিং সাফল্যে অবশ্য সবার ওপরেই আছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম।

উইকেটের পেছনে ২১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩১টি ডিসমিসাল করেছেন মুশফিক। ফিল্ড ক্যাচিংয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪টি করে ক্যাচ নিয়েছেন বাংলাদেশের লিটন দাস ও মিরাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *